Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুরের ডিএন হাই স্কুলে জাতীয় কবি’র জন্মজয়ন্তী পালন

চাঁদপুরের ডিএন হাই স্কুলে জাতীয় কবি’র জন্মজয়ন্তী পালন

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুরের ডিএন হাই স্কুলে জাতীয় কবি’র জন্মজয়ন্তী পালন
চাঁদপুর জেলা সদরে অবস্থিত ডিএন হাই স্কুলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ২৬ মে বেলা সাড়ে বারোটায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল আহমেদ, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের নজরুল গবেষণা পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক আব্দুল গনি।পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক বাবু সুজিৎ কুমার ।

আলোচকগণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনী সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করে বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালের ২৪মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন।

ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।‘ জাতীয় কবি‘র স্বীকৃতি দেন। চল চল চল-কবিতাটি রণসঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা দেন। ‘জয়বাংলা’ ম্লোগানটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবির রচিত ‘পূর্ণ অভিনন্দন‘ কবিতা থেকে নেন। যা বর্তমানে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে ।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি,সংগীতজ্ঞ,
ঔপন্যাসিক,গল্পকার,নাট্যকার,প্রাবন্ধিক,সাংবাদিক,চলচ্চিত্রকার,গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা,গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক।’

আলোচনা সভায় বক্তাগণ আরোও বলেন,‘ কবিতার ইতিহাসে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’
কবিতাটি এক অনন্য সাধারণ রচনা। এক রাতেই তিনি কলকাতার ৩/৪ সি লেন কলকাতার বাসায় বাংলা তথা বিশ্ব সাহিত্যের অনবদ্য এ কবিতাটি রচনা করেছেন। মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯২১ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নজরুল রচনা করেন ১৪১ পংক্তির এ ভুবন বিজয়ী কবিতা যার প্রথম শ্রোতা ছিলেন মুজাফফর আহমদ।

তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে আমাদের মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গানও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস ।’

আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে নজরুল সঙ্গীত, নজরুলের কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি বিষয়ে
ছাত্রদের পুরস্কৃত করা হয় ।

Powered by themekiller.com