আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ফরিদগঞ্জ: ঢাকার বাইতুল মোকাররম মার্কেটের একটি দোকানের ১৮ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে কর্মচারী। তার নাম শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে চুরির সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও আটক করা হয়েছে। সোমবার (৯ মে) রাত প্রায় আট ঘটিকায় টাকা উদ্ধার ও অভিযুক্ত ব্যক্তি আটক হয়েছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি (পশ্চিম) ইউনিয়ন থেকে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বায়তুল মোকাররম মার্কেটে ৪৩ নং অলিম্পিয়া বেকারী এন্ড কনফেকশনারী লিমিটেড এর একটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। ওই দোকানে প্রায় ১২ বছর চাকরি করতেন অভিযুক্ত শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন (৪৫)। ১লা মে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ ঘটিকায় ম্যানেজার নাজমুল হুদা ১৮ লাখ টাকার একটি ব্যাগ তুলে দেন বিল্লাল হোসেনের হাতে। ঈদের আগে বেতন দেয়ার জন্য বেকারীর মালিক বাসায় অপেক্ষায় ছিলেন। স্টার্ট দিয়ে গাড়িতে উঠে বসেন চালক। কিন্তু, চোখের পলকে বিল্লাল হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। নাজমুল হুদা (৫০) ও অন্যান্যরা বুঝতে পারেন বিল্লাল হোসেন টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিল্লাল হোসেনকে না পেয়ে নাজমুল হুদা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট পল্টন থানায় মামলা (৪/২৫৬, তারিখ: ০২-০৫-২০২২) দায়ের করেন। এতে, একমাত্র অভিযুক্ত শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন। তার পিতার নাম শেখ মোহাম্মদ ওয়াকিল। ২১৫, ডলি ভিলা, রোড নং ৪, ব্লক সি, পাইনাদি, সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ।
পল্টন থানা পুলিশ তদন্তক্রমে জানতে পারেন অভিযুক্ত শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন ফরিদগঞ্জে আত্মগোপন করেছেন। এতে, অভিযুক্তকে আটকের জন্য পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সালাহউদ্দীন মিয়া ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এর আইনগত সহায়তা চান।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন এস.আই. বরকত উল্লাকে দায়িত্ব দেন। সঙ্গীয় ফোর্সসহ তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার খাজুরিয়া এলাকার প্রেমিকার বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে আটক করেন। একইসঙ্গে তল্লাশি করে একটি ব্যাগ থেকে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এরপর, তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানায়। খবর পেয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এস.আই. জয়দেব শর্মা মামলার বাদী নাজমুল হুদাকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় সোমবার রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ উপস্থিত হন। যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন ও উদ্ধারকৃত টাকা সঙ্গে নিয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ ঘটিকায় তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন বিবাহিত। নারায়নগঞ্জে তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে। ম্যানেজার নাজমুল হুদা এ প্রতিবেককে বলেছেন, এ ঘটনায় বিল্লাল হোসেনের পরিবার সদস্যরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। তারা খুবই ভালো। ১২ বছরের চাকরি জীবনে বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। পরকীয়ার নেশায় পড়ে লোকটি বিপথে গেলো।
এ ব্যপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেছেন, পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ এর বার্তা পেয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এতে, দায়িদ্ব প্রাপ্ত এস.আই. সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ১৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকাসহ শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হন।