মোহাম্মদ সিন্টুঃ
দেশে নৈরাজ্য, হানাহানি, দলাদলী, যড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ।
শনিবার ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ প্রতিবাদ ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী মাঝি
বলেন, জামায়েত-বিএনপি যে ষড়যন্ত্র করে চলেছে তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। বাংলার মাটিতে স্বাধীনতার স্বপক্ষে একজন আওয়ামীলীগের কর্মীও বেঁচে থাকতে জামায়েত-বিএনপি’র কোন কিছুই বাস্তবায়ন হবে না। বিগত ২০২৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত আপনারা দেখেছেন জামায়েত বিএনপি ষড়যন্ত্র করেছে, সে ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীপু আপাকে তিন তিনবার চাঁদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তিনি দুই দুইবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের প্রিয় নেতা শিক্ষা মন্ত্রী আলহাজ্ব ড. দীপু মনি বলেছেন আমরা আওয়ামী পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকলে বাংলার মাটিতে জামায়াত-বিএনপি যত বড় ষড়যন্ত্র করুন তাঁর দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। সেই নির্দেশ পালনে আওয়ামী যুবলীগের বিপ্লবী চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল যে কর্মসূচি দিয়েছে যুবলীগ তা পালন করবে। চাঁদপুরে জামায়েত বিএনপির কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মী মাঠে নেমে মানিনা মানবোনা এই শ্লোগান দিতে পারবে না। জামাত বিএনপি ষড়যন্ত্র করে যে ইস্যু তৈরি করেছে সেই ইস্যু বাংলাদেশের নয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে তেল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে।
সদর উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক শিমুল হাসান সামনুর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন, জেলা যুবলীগের সদস্য আব্দুল গনি গাজী, মকবুল হোসেন মিয়াজী, মোঃ বাদল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ প্রমূখ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য মোরশেদ আলম মিয়া, ইকবাল হোসেন পলাশ পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর হোসেন কিশোর, মোঃ ফারুক হোসেন বেপারী, পৌর যুবলীগের সদস্য কালা বেপারীসহ জেলা যুবলীগ, উপজেলা যুবলীগ, পৌর যুবলীগ ও ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে শহরের নতুন বাজার, ছায়াবানী মোর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়ক হয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।