পা যেন মাটিতে থাকে
শ্রী আশীষ মুখোপাধ্যায়
২৪-০২-২২
যেথায় তোমার ইচ্ছে ওঠার ওঠো
মইটা রেখো মাটিতে ঠিক করে
ওটাই তোমার মাটির যোগাযোগ
ভুল কোরো না উল্টো চরণ করে।
উর্ধদিকে রাস্তা কোথাও নেই
পিছন ফেলার রাস্তা চোরাবালি
ডাইনে বাঁয়ে সামনে যাওয়া যায়,
থামাও বাগাড়ম্বর মত্ত কথার ঝুলি।
যে হয়েছো সেইতো মাটির গুণে
স্বার্থ তোমার পুরণ করে দিলো
নেয় না ফেরৎ কোন দেনার সুদ
তাইতো শুধু মাটিতেই পা ফেলো।
শুন্যে তুমি উড়তে পারবে নাকো
আরামের শয্যা হবে মাটির উপর,
অহমিকার তুফান সয়না সময়
অন্যথাতে তোমার পতন শীঘ্রতর।
মাটি তোমায় দেখায় সুদূর দিক
বুক পেতেছে তোমার চলার দিশায়,
জীব জগতের সবার সিদ্ধ গতায়াত
আদর্শ দাও মানবসেবার আশায়।।
——————————————
ওরা কারা? / শিউলি।আখন্দ
**************************
“ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায় ”
= আবদুল লতিফ
কইলেই অইল?
এডা মোর মায়ের ভাষা
কতা কইলে পানের সুঘ্রাণ বাইর হয়
এইডা সহজে ছাইড়া দিমু না,
এইডা মোর বাপ দাদার ভাষা
ছোডকাল অইতে হুইন্যা আইছি
ব্যাবাক্কে কয় বোঝছো তো
এইডা ছাড়মু? মোডেই না,
না না না মোগো বাংলা ভাষা ছাড়মু না
ছাড়মু না কোনো কালেও না না না না..
বোঝছো মেয়ারা ছাড়ছি? কও দেহি?
রক্ত দিছি, হ্যারপর বুজাইছি, ছাড়ি নাইক্যা,
রক্ত দিছি, মরছি, মাডির তলে হুইয়া রইছি
স্মরণের লইগ্যা দিন বানাইছো, ফুল দিছো
ব্যাবাক ই কাম ভালো হরছো, ব্যাক ভালো
এই দিন কোনো দিনের লগে মেলে কও দেহি?
তয় একখান হাচা কথা কই, যে গানডা গাও
ঐ যে ____”_আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো
একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?
কও দেহি লেকছে কেডা? আবদুল গাফফার
চৌধুরী, নামডা হোনছো হ্যার?
আর সুর আহারে যেনো কাইন্দা কাইন্দা কয়
এক্কেবারে ধীরে ধীরে, নাম? শহীদ আলতাফ
মাহমুদ , সুর একখান বানাইছে হোনলে চোক্ষে
খালি পানি পড়ে পানি পড়ে মুছমু যে পারিনা।
ব্যাবাক দুঃখ বুকডার মধ্যে ঢেক্কুর মারে…..
( এট্টা মজার কথা ভুইল্যা গেছি আমার ভাইয়ের
………..ফেব্রুয়ারি গানটির কতা যের হে কিন্তু
বরিশাইল্যা, সুর যে হরছে হেও বরিশাইল্যা, মজার না? হেগো লইগ্যা ও মোগো সালাম। )
**★(সংরক্ষিত) **★
*******
২৩/০২/২০২১, উত্তরা, ঢাকা।
——————————————-
তুমি একদিন
চৈতন্য কুমার বর্মন
২৪/০২/২০২২
তুমি একদিন
পুব আকাশের মেঘ দেখিয়ে বলেছিলে,
ঐ মেঘের দেশে চলো না ।
ঐ—যে দেখছ ছোট্ট ছোট্ট গাছপালা—
যারা ঘিরে রেখেছে নদীটা
ঐ নদীর পাড়ে আমরা ঘর বাঁধব।
ঐ—যে দেখ
নদীর জলে ঝিলিমিলি সোনাঢেউ
আমরা প্রতিদিন গুণতে বসবো।
তখন আমার চুলে হাত বুলালে
দুষ্টু বলবো তোমাকে ।
দেখে নিও
তুমি যে হাসিটা হাসবে—
ঐ—যে দেখছ বটতলা
ওখানে বসে বলবো, হাসি কিনবে—হাসি— ।
তারপর রাত হয়ে এলে
জোছনার নিবিড় আলো মেখে
ঘুমিয়ে পড়বো তোমার কোলে ।
তোমার বাঁশির সুরটা থামিয়ো না যেন।
আমি চাই নে
সাজুর অলুক্ষণে কপালটা আমার হোক।।
——————————————-
পরকীয়া
( ছোট প্রবন্ধ )
মিডিয়ার মাধ্যমে পরকীয়া শব্দটির সাথে আমরা আজকাল বেশ পরিচিত। কিন্তু এই পরকীয়া চলে আসছে সেই আদিকাল থেকে, কিন্তু তখন মিডিয়ার এতো ব্যাপক প্রচার ছিলনা তাই প্রায় সব পরকীয়া প্রেম ই গোপন থাকতো।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে।
পরকীয়া কি এবং কেনো ?
নারী বা পুরুষ কেনো পরকীয়া করে ? আমি পরকীয়া প্রেমকে দুই ভাবে দেখি।
মানুষ মাত্রই ভালবাসার কাঙাল। কিন্তু সবার ভাগ্যে ভালবাসা জোটেনা। মনে করুন একজন স্ত্রীর কাছে আপনি ভালবাসাতো দূরের কথা শুধু অবহেলা পেয়ে আসছেন। এই ভালবাসাহীন অবহেলা একজন মানুষ কতদিন সহ্য করতে পারে ? তবুও বেশিরভাগ মানুষই মৃত্যু পর্যন্ত এই অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করে যায়, কিন্তু কিছু মানুষের মন বিদ্রোহী হয়ে উঠে, সে অন্য মেয়ে বা পুরুষের মাঝে ভালবাসা খুঁজে পেতে চায়।
আরেক ধরনের মানুষ ঘরে সুন্দরী স্ত্রী সুন্দর স্বামী , ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়েও অন্য মেয়ে বা পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রেম করে বেড়ায়, তারা কেনো বা কিসের অভাবে এমন করে। আমার ভাষায় এরা বহুগামী।
আর যারা ভালবাসাহীন অবহেলার জন্য অন্য নারী বা পুরুষের কাছে ভালবাসা খুঁজে পেতে চায় তারা ভালবাসার কাঙাল।
এই দুই শ্রেনীর মধ্যে যারা ভালবাসার কাঙাল তাদের আমি কোনো ভাবেই দোষারোপ করবো না,
কারণ মানুষ মাত্রই ভালবাসার কাঙাল।
আমার লেখাটি নারী পুরুষ উভয়কে নিয়ে।
লেখাটি কতটা যৌক্তিক তা পাঠকরা বিচার করবেন।
২৪/০২/২২
——————————————-