Breaking News

বিভাগ-কবিতা
==================
##মুক্ত মন
–অরিন্দম সরকার
==================================
মুক্ত মনের হদিস পেতে হৃদয়ের জটিল ভুলভুলাইয়া হাতড়ে পেলে কি সত্যি কোনো খোঁজ?
একই গড্ডালিকা-প্রবাহ ঘেঁটে চলা প্রাত্যহিকতার টানে রোজ!
ব্যতিক্রমী চেতনা,উচ্ছ্বল প্রেরণা যে কোনো মূল্যে পেতে চাও;
চাওয়া-পাওয়ার প্রহেলিকায় কেন এতো খাবি খাও ?
যেতেই যখন হবে,তবে কিসের যতো পিছুটান!
গোপন কোণে লুকিয়ে রাখার কেন এতো আয়োজন ?
দুঃখ আছে, সুখও আছে, সহিষ্ণুতা কৈ ?
বন্ধনের মায়া কখন যে মনে হয় উড়ো খৈ!
নিজেকে যতই শাণাও, কেতাদুরস্ত যতই হও;
দিনের শেষে ঘুমের দেশে শান্তি খুঁজে কজন পাও ?
সমাজ শুধু মেকি অভিনয়ের বিস্তৃত রঙ্গমঞ্চ,
উন্মুক্ত হতে কেন এতো দ্বিধা-দ্বন্দ্বের আরোপিত রোমাঞ্চ ?
চাই আরও একবার এক অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি কিংবা এক উদার লালন,
হৃদয়হীন মুখোশধারী যান্ত্রিক অবস্থান বুঝবে মুক্ত মনের প্রয়োজন।


——————————————–

টাকার গুণ
গাজী মোসাঃ লতা ইসলাম
—————————————
টাকার কাছে হার মেনে যায়
স্বাদের দুনিয়া
টাকা ছাড়া পৃথিবীতে
সবই যে বৃথা।

টাকাপয়সা পৃথিবীতে
বড়ো মহাজন
টাকার অভাবে সব মানুষ
হারায় প্রিয়জন।

থাকলে টাকা বিদ্যাবুদ্ধি
সবই কেনা যায়
টাকা ছাড়া পন্ডিত মশাই
ঘুরেন গাছতলায়

টাকার জন্য করতে পারে
হোকনা যতই পাপ
টাকা হলো এই জগতের
আসল মা আর বাপ।

টাকা ছাড়া পৃথিবীতে
হয়না কোনো কাজ
টাকা ছাড়া সেও ফকির
হোকনা মহারাজ।

পাকাচুলে ও কাঁচা হয়
ঢেকে দেয় টাকা
হাজার দোষের বস্তুাগুলো
যায় দিয়ে ঢাকা।

টাকার জন্য কতো প্রাণ ঐ
অসময় ঝরে
থাকতে কেহ বুঝেনা যে
মরনের পরে।

আত্নহত্যা মহাপাপের
যেনেও করে
অন্যায় পথে পা বাড়ায় সে
টাকা চায় ঘরে।

মদের নেশা জুয়ার নেশা
নেশা যে টাকা
টাকা ছাড়া মানবজীবন
পুরোটা ফাঁকা।


——————————————

বৃদ্ধ রাজ
রাণু সরকর
________
কাছে তবু দূরে, বারে বারে আমাকে সে ডাকে,
বৃদ্ধ বয়স প্রিয়র, আমার এ কষ্ট, বলি আমি কা’কে।

কাব্য রচন করে ভালো, ঈশ্বর করেছে দান,
বসন্তে কোকিলের সাথে সুর করে, করে গান।

ভালো, তবে আমার বেলা বড় অনুদারতা,
মুখরিত উচ্চ ধ্বনি, ভালো করে বলে না তো কথা।

অদৃষ্টের পরিহাস, ভাগ্য বিড়ম্বনাই হয়তো আমার ভালো,
এমন করে ডাকে আমায়, হৃদয়ে জ্বলে দেয় আলো।

বলে সে অযোগ্য, থাকবে আমার পায়ের তলা
অন্তরটা ভালো, হোক না যতই ভালো গানের গলা,

প্রদীপের রশ্মি কদম-শিমুলের ওই গাছে,
বৃদ্ধ প্রিয়র জাগে সাধ, বাঁকা কোমরে নাচে।

আবৃত কাপড়ে, দৃষ্টির বাহিরে জাগায় হিল্লোল,
লহরিত অন্তর বেণুকুঞ্জে দেয় সে তাল-দোল।

হে ক্ষণিকের অতিথি, এ শরীর হবে লুটতরাজ,
কবে বুঝবে, নিষ্পন্ন করো কীর্তনাঙ্গ, হে বৃদ্ধ রাজ।

২২/০২/২০২২


——————————————-

বিষয়ঃ কবিতা
শিরোনামঃ শুধু বৃষ্টি এলেই
কলমেঃ জেরিন ইসরাত ন্যান্সি
তারিখঃ ২৪-০২-২০২২

অনেক দিন হয় আকাশ খুঁজিনা,বুকের ভেতর ছটফটে এক আকাশ,
অনিচ্ছুক আর অনর্থক ইচ্ছেদের উড়িয়ে দেই ফানুস করে
পাখিদের মতো তাই ফিরে আসেনা নীড়ে বিবাগী আকাঙ্খার ঝাঁক
মেঘের সাথে কোনো অভিমান হয়না আজকাল তেমন
চোখের গভীরে ছায়া ফেলে যায় ছাই রঙা মেঘের দল।
শুধু বৃষ্টি এলে ঠায় দাঁড়িয়ে যাই জানালার পাশে,
বৃষ্টি এলেই কেবল…
ভেজা দেয়ালে মুছে মুছে গেছে রাজনৈতিক শ্লোগান,
মোছে না ভেতর থেকে ভেতরে উদাসীন বিরহ সমূহ।
রাখিনি পা সবুজ ঘাসে ছুঁয়ে দেখিনি ঝিলের তিরতিরে জল
হেমন্তের রাতে নই ঝিঁঝিঁপোকা,বসন্তের পলাশ নই গোটা শহরে,
অথচ সাদা কাগজে মন খারাপ কবিতা হয়েও থাকতে চাইনি,
বরং পাতায় পাতায় লুকিয়ে রেখেছি একেকটি দ্বীপ,
অসংখ্য তার ঘরবাড়ি আর বিভিন্ন তাদের কথা সমগ্র,
অশ্রুত কথা ছিলো তিতির পাখির মতো…
মটরশুঁটির সবুজ মাঠে আনমনে
আয়নার কোণে বহুদিন ধরে সেঁটে থাকা ভুলে যাওয়া টিপের মতো কষ্টটাও ছিলো,
বেবাক ভাঙাচোরা শহরের অলিগলিতে, খানিকটা গড়া খানিকটা তেমনই যেমন থাকে,
তবুও বিষাদ আসেনি,
পরিযায়ী পাখি করে পাঠিয়ে দিয়েছি শীতের দেশে।
বুকের ভেতর আস্ত আকাশ ছটফটে সাদা কিংবা খেপাটে নীল।
মেঘের সাথে নেই আমার কোনো অবুঝ বোকাসোকা অভিমান,
শুধু বৃষ্টি এলে ঠায় দাঁড়িয়ে যাই জানালয়…
শুধু বৃষ্টি এলেই….।।


——————————————-

Powered by themekiller.com