একদিন হঠাৎ
-মো.হুমায়ুন কবির
একদিন হঠাৎ ক্যাম্পাসে তুমি
মনোলোভা নীল শাড়ি পড়ে ছুটে এলে
কী ভীষণ হাপাচ্ছিলে তুমি
যেন তোমার নাক গলে ঝরে পড়ছে
ঝোরো বাতাস
কী অবুঝ চঞ্চলতা তোমার চোখে মুখে
ছড়াচ্ছিলো লৌকিক দ্যূতি
বললে: কোথায় ছিলে তুমি?
টিএসসির ঝর্ণাতলা, লম্বা বারান্দা
ঘাসের মাঠ, ডাস চত্বর
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বারান্দা
শিউলিতলা, অপরাজেয় বাংলা
কোথায় ছিলে তুমি?
অবশেষে দেখলাম
মলের ঘাসের মাদুরে বসে আছো
আচ্ছা অর্ক, এতো অভিমান কেন তোমার?
ওটাতো মেয়েদের মানায়
তুমিনা বড্ড অভিমানি ছেলে
আমাদের না হয় ঝর্ণাতলায়ই কথা ছিলো
তুমি না আমায় নীল শাড়ি পড়ে
ক্যাম্পাসে আসতে বলেছিলে
জানো, আমি না সুন্দর করে
শাড়িই পড়তে পারিনা
মা বাসায় নেই
ভাগিস ক্রিস্টিনা এসেছিলো
একসাথে আসবো বলে
সেই পড়িয়ে দিলো
আর আমার দেরি বলে এই ফাঁকে
তুমি এইখানে এতোদূর
এই, তুমি অমন হা করে কি দেখছো?
কথা বলছো নাযে?
আমিতো তোমাকেই দেখছি কুহেলি
অপলক মুগ্ধতায় আমি নির্বাক
একী নীল পরী ডানা মেলেছে আজ
তোমার নীল শাড়ির লম্বা আঁচল
যেন নীল পরীর মায়াবি যাদুর ডানা
ভাবছি এ কোন মায়াবিনীর আগমন
অরণ্যময় ক্যাম্পাসে
তুমি হঠাৎ আমার হাত ধরে
টেনে তুললে ঘাসের গালিচা থেকে
বললে: দ্যাখো আজ আকাশ
কেন এতো নীল?
আমি বললাম
তোমার ওই নীল শাড়ির আঁচল
আজ উড়ে গেছে নভোনীলিমায়
তুমি বললে: শুধু কি তাই
আজ সাগরের কাছে গিয়ে দেখে এসো
নোনাজল কতোটা গাঢ় নীল হয়েছে
নীলাকাশ আর সাগরের জলরাশি
মিলেমিশে একাকার
তুমি সহসাই আমার হাত
তোমার মুঠোয় চেপে
আবদারের সুরে বললে:
চলোনা আজ আমরা
সমুদ্র জল আর নীলিমার মতো
একাকার হয়ে যাই।
১৬.০২.২০২২