Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

শিরোনাম :- ও মেয়ে ……
কলমে :- সুমা গোস্বামী
তারিখ :- 12/2/2022

💙💙

ও মেয়ে ……..
তুই প্রেম করবি ?
কেমন প্রেমিক চাই রে তোর ?

💙💙

‘ দেখো , পিছলে যেও না কমলিনী ‘
‘ তুমি তো আছো , সামলে নেবে ‘
হঠাৎ শাড়ির আঁচলে টান ……..
এমন প্রেমিক পছন্দ তোর ?

💙💙

রাতদুপুরে মনবাড়িতে যখন দেখবি বদ্ধ দুয়ার

সবজেটে হাত হ্যাচকা টানে
কমলালেবুর কোয়ার মতোই
শুষে নেবে তোর মনের জ্বর …..
এমন প্রেমিক পছন্দ তোর ?

💙💙

ঝরাপাতায় হারিয়ে যাওয়া তুই
একটু যখন টালমাটাল

ফিসফিসানির মেদুরতায়
দমকা হাওয়া বুনছে তখন
তোর জীবনের সফল ক্যানভাস …..
এমন প্রেমিক পছন্দ তোর ?

——————————————-
ভবঘুরে

আইফেল টাওয়ারে হেলান দিয়ে বসি
রকমারি প্রেমের পাঁচমিশেলি
সব ভুলে আঁক কষি ।

রোজ ভাবি সাঁকোটা পেরিয়ে যাবো
কারো সাজানো এক স্বপ্নপথে
ইচ্ছে আকুল নাছোড় ।

আবোল তাবোলের কত বেড়া খানাখন্দ
পেরিয়ে গাঙচিল নদী খোঁজে
স্বচ্ছতা ও বুদ্ধিদৃপ্তি মন্দ না

একটা বাঁশের পথে অন্তহীন এ হ্রদ
ফস্কালে পা মরণ-বাচঁন
সাবধানী পা একমনা ।

ভেসে যায় কত কিছুই এক জোয়ারে
ভাটির টানে জমতে থাকে
বিশাল চরা জলশামুকের।

ভাগ্য ভালো কসাক জীবন ঠিকানাহীন
অনুভূতির হৃদ্য স্লাভ পথপ’রে
হাত বাড়ালে অন্তহীন…

(কলকাতা)

©Sonali MandalAich

——————————————

আমার নীলাঞ্জনা

তারিখ : ১২/২/২০২২ ইং

———–আরিফুজ্জামান মুঈন

মণিকুন্তলা চলে গেলে একেলা
মোর কণ্ঠে দিলেনা ফুলমালা ;

প্রীতির মদিরা পিয়াতে আসিয়া
চলে গেলে শুধু একেলা প্রিয়া ;
আজো বারে বারে কাঁদিছে হিয়া
বাড়িছে হৃদে অসহ জ্বালা ।

রাসেশ্বরী আজো খুঁজিছে হরি
তুমি তো চেননা রাসবিহারী ;
মধুর তিয়াসে চমনে ভ্রমরী
গুন গুন করে কাঁদে একেলা ।

ইন্দুশেখর চাহে শুধু চন্ডিকা
তুমি কেন প্রিয় রহিলে একা ;
অকালে ঝরালে প্রেম কলিকা
হলোনা পুষ্পচয়ন , শূন্যডালা ।

আমি ছাড়া তুমি আছ বেশ
রাধাবিনে কাঁদে দ্বারকেশ ;
মনে পড়ে হারানো সুরের রেশ
বসে ধীরে ধীরে সাধি গলা ।

একই শাখে যেমন চখা-চখি
তেমনই কাছে ছিলো মোর সখি ;
প্রণয়ের মাঝে ছিলো মাখামাখি
সে স্মৃতি কভু যাবেনা ভোলা ।

সেজেছে সরসী , ভরা সরোজিনী
ফুটেছে শাখে আজ সন্ধ্যামণি ;
মোর বুকে কাঁদে নিঝুম তমস্বিনী
কেন হলোনা প্রীতির পুষ্প তোলা ।

কোন সুদূরে রয়েছো পড়ে নীলাঞ্জনা
হৃদিকুঞ্জে আজো কাঁদে প্রাণচন্দনা ;
মধুর স্মৃতিটুকু ভুলিতে পারিনা
আরও কিছু কথা ছিলো হয়নি বলা ।

ঝন ঝন আজ বাজেনা কাঁকন
উড়ে গেছে পাখি নেই কলতান ;
কে শুনাবে মোরে সুমধুর গান
এখনো কিছু পথ হয়নি চলা ।

——————————————
নাইবা হতো
কিইবা হতো

মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

স্বপ্নরা নাকি হাসে
স্বপ্নরা নাকি কাঁদে
বলতে কি পারো কেউ স্বপ্নেরা কখন হাসে? কখন কাঁদে?
লাখ টাকার প্রশ্ন বটে উত্তর পেতে যেতে হতে পারে চাঁদে।

ঘুরে আসি তবে মন ও স্বপ্নের এ পাড়া ও পাড়া
উত্তরের সন্ধানে।
চলে যাই নিকষ কালো কষ্টে ঘেরা যুগল প্রাণের
প্রেম প্রাঙ্গনে।।

এগিয়ে যাই তবে সুবাস আর সুহাসিনীর প্রেম বিরহের খণ্ডচিত্রের দিকে।
যেখানে অনেক কথাই এসেছে সুবাসের আপ্তবাক্য বিরহী সংলাপে এঁকে।।

“কোথায় কি লিখলাম…
আর সেখানে চোখ পড়লো সম্পুর্ণ অচেনা সুহাসিনীর!
সে লিখার উপজীব্যকে ছাড়িয়ে উল্টো ছবির মানুষটির প্রতি অনুরাগের ফুলঝুরি ছিটিয়ে দিলে!
কি অবাক করা কাণ্ড আমিও নিমগ্ন নিবিড় বন্ধুতার প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে তাকে হার্দিক আহবান জানিয়ে তার অনুরাগের যোগ্য সাড়া দিয়ে বসলাম…
উপেক্ষা করা হলো সংশক্তি সূত্রের সমাজাতীয় বন্ধুত্বের কথা।
মিলিয়ে দেখা হলো কিন্তু না দু’জনার আর্থ- সামাজিক অবস্থা ও অবস্থানের ব্যবধান!
বিশ্লেষণী সচেতনতায় দেখাদেখি ছাড়াই দু’জন হয়ে গেলাম একে অপরের জানের জান!”

“একসময় হলো….
দেখাদেখি
চোখাচোখি
অতঃপর কোন বিশ্লেষণী ব্যাখ্যা ছাড়াই ঘটে গেলো ভালোবাসার দুরন্ত অভিষেক!
একদম যুক্তিহীন ভাবেই বোনা হয়ে গেলো সম্পর্কের বাঁধন সূত্র- অবাক কাণ্ড এক!!”

“এখন তো আমার মনে হচ্ছে সাধারণ জীবন কাঠামোয় ভালোই তো ছিলাম বোধকরি…
এ পরিচয় না হলেই বেশি ভালো হতো!
থাকতে পারতাম আমি ঠিক আমার মতো।।”

“এখন তো আমার মনে হচ্ছে এ দেখা
না হলেই ভালো হতো!
অযথা মায়ার সম্পর্কে জড়িয়ে হৃদয় জুড়ে
সৃষ্টি হলো গভীর ক্ষতো!!”

“এখন তো মনে হচ্ছে অপার মায়ার এ সম্পর্ক
না হলেই ভালো হতো!
আমায় জ্বালাতো না মায়া ও ঘৃণার মিশেলে গড়া অদ্ভুত অনুভূতি যতো।।”

“এখন তো আমার মনে হচ্ছে উভয়ের একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া না হলেই বরং অনেক ভালো হতো!
এতে আমাকে বিরহী অশ্রুতে ভিজতে হতো না;
কষ্টের অনলে পুড়তে হতো না; আমার কষ্ট হতো না এতো!!”

“এখন তো আমার মনে হচ্ছে অশ্রু বিনিময় না হলেই অনেক ভালো হতো!
তেতোস্বাদের হাল অভিজ্ঞতায় পরও কেন যে দেয় বাঁধা আবেগী মন যতো!!”

“এখন তো মনে হচ্ছে উপহার বিনিময় না হলে অনেক অনেক ভালো হতো!
এতে করে এখনকার মত স্মৃতির দহনে পুড়তাম না, বাড়তো না হৃদয়ের ক্ষতো!!”

“এখন তো মনে হচ্ছে এত ঝগড়া না হলেই বরং
অনেক ভালো হতো!
এতে উদ্ভট সব কথাবার্তা শুনে রাগ উঠবার সুযোগ হতো না অতো!!”

“এখন তো মনে হচ্ছে ভাঙ্গা-গড়ার দীর্ঘ লুকোচুরি খেলা তথ ভাঙ্গন ও মিলনের এত এত খেলা না হলেই বরং ভালো হতো!
এতে করে দিনের পর দিন করতে হতোনা সম্পর্কের যোগ বিয়োগ, গুণ ভাগ; চলতাম আমি নিজের মতো!!”

“এখন তো মনে হচ্ছে অপমানিত হবার আগে আমার মরে গেলেই বোধকরি অনেক বেশী ভালো হতো।
এতে আর যাই হোক দৃশ্যমান জাগতিক নানান পীড়ণে সৃষ্টি হতো না কালো কালো কষ্টের গভীর ক্ষতো!!”

উক্ত পরস্পর যুক্ত যুক্ত আপ্তবাক্যের সংলাপের পর স্বপ্নের হাসি-কান্নার কার্যকারণ সম্পর্কে ভের্দ্য সূত্র মূলে এখন আমি বলতে পারি…
স্বপ্নবাজ মানুষটা যখন তার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যাভিসারি থাকে এবং ক্রমান্বয়ে লক্ষ্যভেদের কাছাকাছি পৌঁছে যায় তখন…
স্বপ্নরা হাসে তারার মিটিমিটি আলোর হাসির মত।
স্বপ্ন সাধক মানুষ যখন তার লক্ষ্যাভিসারি বিন্দু বলয় থেকে বিচ্যুত হয় বা সরে যেতে বাধ্য হয় তখন কিন্তু…
স্বপ্নরা কাঁদে পরাজয়ের গ্লানিতে; তাকে ঘিরে ঘরে রাজ্যের হতাশা যত।।

স্বপ্নের হাসি-কান্নার মধ্যে লুকিয়ে থাকা মায়া ও ঘৃণার অদ্ভুত অনুভূতির মিথষ্ক্রিয়ায় গড়া অনুভব তলে এসে বলতেই হয়…
‘ একা ছিলাম, ভালোই তো ছিলাম!
শুধু শুধু আমি মায়ার ফাঁদে পা দিলাম!!
কিইবা হতো যদি…
নাইবা হতো পরিচয়;
নাইবা হতো দেখাদেখি;
নাইবা হতো মাখামাখি!

ঢাকা
০৭/০২/২০২২
পোষ্টের তারিখ:১২/০২/২০২২

—————————————–

Powered by themekiller.com