বাবা
—— বাগবুল মাহবুব
তারিখ : ১১/০২/২০২২ ইং
বাবা মানেই বিশাল বটবৃক্ষ
মাথার উপর শীতল ছায়া
চলার পথে আনে নির্ভরতা
কঠিন বুকের কোমল মায়া।
বাবা মানেই এগিয়ে চলা
জীবন চলার বিচিত্র পথে,
আঙুল ধরে হাটতে শেখা
বিশ্বাস আসে হৃদয় হতে।
বাবা মানেই বলিষ্ঠ কাঁধ
প্রথম পাওয়া শ্রেষ্ঠ আসন,
ঘামে ভেজা উদাম শরীরে
স্বপ্ন দেখার সাহসী মন।
বাবা মানেই প্রথম শৈশব
মুক্ত আকাশে উড়ে চলা,
অবুঝ মনের অবোধ্য ভাষা
নিবিড় অনুরাগে প্রথম খেলা।
বাবা মানেই দুরন্ত কৈশরে
সু্খের রঙে ছবি আঁকা,
নিষেধ ভাঙার প্রতিটি প্রহর
হাজার স্মৃতি জমিয়ে রাখা।
বাবা মানেই পরম বন্ধু
দুরন্ত যৌবনের পথের দিশা,
লক্ষ্য জয়ের অদম্য ইচ্ছে
হৃদয়ের স্বপ্ন ছোঁয়ার নেশা।
বাবা মানেই নির্ভাবনার জীবন
সুখের জীবনে যেন স্বর্গবাস
বাবা ছাড়া পৃথিবী অন্ধকার
বন্ধুহীন জীবনের চারপাশ ।।
——————————————
♦আমি কী ভুলিতে পারি
রীনা পারভীন
চাপ চাপ রক্ত পিচঢালা রাস্তা
ঢাকার শহর হয় রক্ত রাঙা।
সাদা সজনে ফুল কুয়াশার বুক চিরে
শ্রদ্ধায় অবনত –
রফিক, শফিক, জব্বার, রক্তের আখরে লেখা
একুশে ফেব্রুয়ারি ইতিহাসে হয় গাঁথা।
কুমড়োলতা আঁকড়ি দিয়ে যায় চারুকলায়,
হাজার বোনেরা প্লাকাড হাতে রাজপথ পানে ধায়।
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই,
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই।
ওরা আমার মায়ের ভাষা কাইড়া নিতে চায়।
মানিনা, মানবোনা যত আছি ভাই- বোন পূর্ব বাংলায়।
চাপ চাপ রক্ত পিচঢালা রাস্তা,
ঢাকার শহর হয় রক্ত রাঙা।
পলাশের ডালে আগুন লাগে,
সবুজ পাতা ঝরিয়ে।
শিমুলের ফুল কাঁটার খোঁচায়,
রক্তাক্ত করে কৃতজ্ঞতা ভরে।
সবুজ পাতার ফাঁকে রঙ্গনকলি
জমাট রক্ত হয়ে ফুটে।
লাল গোলাপ পাপড়ি ছড়িয়ে কাঁদে,
কৃষ্ণচূড়া ব্যথার ভারে ঝরে পড়ে,
নিজেকে সমাহিত করে তোমাদের স্মরণ করে।
দোয়েল, কোয়েল, ফিঙে, শ্যমা গান গায়-
আমার ভায়ের রঙে রাঙানো
একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কী ভুলিতে পারি।
ধানসিঁড়ি
১০/০২/২২
——————————————-
হ্যাপি টেডি ডে
সুচন্দ্রা বসু
১০.০২.২২
তুমি আমার ভালোবাসা চিরন্তন,
একেবারে মিষ্টি টেডির মতন
হৃদয়ের প্রতীক এই টেডি বিয়ার
ভালোবেসে আনন্দে থেকো ডিয়ার।
হ্যাপি টেডি বিয়ার ডে আজ যে
তোমার জন্য টেডি বিয়ার সেজে
চিরকালের জন্য তোমার সাথে
সঙ্গী হয়ে চলব আমি এক পথে।
টেডি বিয়ারের হয়না হৃদস্পন্দন
তবুও জীবনে আছে এর প্রয়োজন
টেডি বিয়ার ভরপুর ভালবাসায়
হ্যাপি টেডি ডে মন ভরুক আশায়।
তুমি আমার চোখের তারা,
দেখতে চাই মুখের হাসি
দিলাম আজ টেডি উপহার
এভাবে থাকবে পাশে আমার।
আমি হন্যে হয়ে খুঁজেছিলাম
গোলাপি ভালুক তোমায় দিয়েছিলাম
যাকে জড়িয়ে করবে অনুভব
মুহূর্তে দুঃখ বেদনা ভুলবে সব।
জীবনে আসবে জানি সমস্যা
হ্যপি টেডি ডে অনেক আশা
তোমার জন্য অঢেল ভালবাসা
তুমি একমাত্র আমার ভরসা।
——————————————–
কাল্পনিক লড়াই
অরুণ কারফা
দিঘীর বুকে মনের সুখে আঁকছিলাম এক কাল্পনিক জগতের অপ্রকাশিত,,,,
অকল্পনীয় ছবি,
যেখানে খেলার চাপে ধাপে ধাপে ছেলেটার পড়াশোনা, জ্ঞান, সাধনা, ইত্যাদি বন্ধ হচ্ছিল সবই।
তখন জলের তলের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বসতেই এক বক
ফুরসত নিয়ে দূরের কোনো পাতা ঝরা কৃষ্ণচূড়ার শাখে,
মনে হল ছবির গায়ে আঁচর কেটে বুঝিয়ে দিল চিত্রপটে,
তাকে ছাড়া মনগড়া কল্পনা করতে, যাবে না পারা,
যতই বড় শিল্পী হই একজন প্রতিলাখে।
তাই, তার স্থানও দিতেই হবে আঁকিবুকির ফাঁকে,,, ,,,
বোঝাতে গেলে চলার বাঁকে
পড়লে কোনো ছেদ,
কীভাবে অদম্য জেদ, নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, না টেনে পূর্ণচ্ছেদ
…………..লড়াই চালিয়ে তাকে।
——————————————-