সেকেলে ভালোবাসা মাখা চিঠি আসতো,পোষ্টম্যানের ব্যাগে,থরথরে বুক,উন্নত চিবুক,
অনেক আহাম্মক দূর্বলতা কিম্বা দুষ্টু অভিপ্রায় ধরা পড়ে যেতো,
একান্নবর্তী ভয় ছিলো, ছিলো দুর্মুখ..
একালের যুবক-যুবতীদের জানলায় অথবা জনহীন বারিন্দায় দেখা যায় না, নির্দ্বিধায় ভোগ করে চুম্বন কিম্বা আলিঙ্গন, শাপদগ্ধ পতঙ্গের মতো, খোলাখুলি ভালোবাসা-র কথা বলে,
চিবুক তুলে অতলান্ত সুখের কথা বলে,
ওরা লজ্জা করে না, একালের আকাশে চাঁদ নেই তারা নেই,
কালো মেঘ আর বজ্রপাতে ওদের ভয় নেই..
আসলে এখন আর একান্নবর্তী-ই নেই,
এখন পুরুষদের অদ্ভুত রূপ দেখে হলফ করে বলতে পারি, সেকেলেরা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
সবার মধ্যে কেমন যেনো মিথ্যে সতর্কতা,
কি যেনো এক অতর্কিত ভয়,
আসলে সুখের সংঙ্গা গেছে বদলে,
আভরণ পিছলে গেছে,
ইলিয়াডের অ্যাকিলিসের মতো সুপুরুষ,
অথচ কেমন যেনো অন্তসারশূন্য, আহাম্মক,
দুর্নিবার সুদর্শন অথচ কেমন যেনো হা পিত্যেশ নোলা,
আসলে এদের কখনো যুদ্ধে যেতে হয়নি,
বাবার হার্ট-অ্যাটাকে রাত জাগতে হয়নি, নির্ঘুম আই সি ইউ এর সামনে,
পৌরানিক চরিত্রের সৌন্দর্য্য, অথচ সেরকম ঋজু নয়,
কেমন যেনো চলৎশক্তিহীন,স্বেচ্ছাচারী,নিরন্তর প্রাচুর্য্য,
মদ্যপায়ী আবার পরোপকারীও,
গভীরতা কম..নিরর্থক উত্তেজনা,
জিনস্ ,টপ, টি-শার্টেই সন্তুষ্ট, ত্রি-টায়ার এ সি ,কিম্বা এয়ার টিকিটেই তৃপ্ত, কেমন যেনো একটা বাতিল অহঙ্কার..
তবুও একালের তরুণ-তুর্কিদের দেখে তোমার ফুসফুসে জ্বালা, বুকের মধ্যে ক্ষতচিহ্ন দীর্ঘ হয়,
আসলে তুমি সেকেলে হয়ে যাচ্ছো..
এখন আর ঈশারাতে গোলাপ ফোটে না..