Breaking News
Home / Breaking News / দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

দুই বাংলার বৃহত্তম নেটওয়ার্ক দৈনিক শব্দনগরের সেরা চার সাহিত্য

ও লাইব্ৰেৱি শুনছ
এম আশৱাফ আলী

দন্ডায়মান ৱেক গুলোৱ ফাঁকে ফাঁকে
অগণিত বইয়েৱ সাৱি সাৱি স্তুপ,
মোটা থেকে ছোটা গোলক ধাঁধাঁৱ মত ৱাশি ৱাশি
বইয়েৱ সমাৱোহ আমাকে হাত ছানিতে ডাকে
আমাৱ প্ৰিয়াৱ মতো
আমি কাছে যাই
গভীৱ মমতায় হাতড়াই নানান ৱঙেৱ ব্ই গুলো।
একেৱ পৱ এক বই- পুস্তকে মনোনিবেশ কৱি
সব পড়ে শেষ কৱতে পাৱিনা
তেমনি পাৱিনা প্ৰিয়াৱ শান বাঁধানো অভিমানেৱ
ৱহস্য উদঘাটন কৱতে
মনে হয় সে প্ৰিয়াৱ মনেৱ লাইব্ৰেৱিতে পুস্তিকা বেশুমাৱ
পড়ে শেষ কৱা আমাৱ পক্ষে দূৱহ– দূৱ্ বোধ্য।
আমাৱ আশেপাশে বেড়ে ওঠা বন্ধু গুলো ও
বেশ জটিল
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলেও ওৱা দেখায় নিখাদ
ৱাজনীতিকৱা এক একটা লুক্কায়িত লাইব্ৰেৱি
ওদেৱ চলমান বাজাৱ মূল্য যেন এক একটা
শেয়াৱ বাজাৱ, কখনও মুদ্ৰাস্ফীতিৱ মতো মনে হয়।
তাই ওহে লাইব্ৰেৱি
তোমাকে পূৰ্ণৱূপে আবিষ্কাৱ কৱতে আমাৱ এখন ও ঢেৱ দেৱী–
তুমি কি একটা পথ বাতলে দেবে?
তোমাৱ সংগ্ৰহেৱ প্ৰতিটি পাতা উন্মোচন কৱ
তোমাৱ বই গুলোৱ দাও খুলে ভাজ।
আমাৱ প্ৰিয়া এটা দেখে শিখুক
কেমনে পড়তে দিতে হয় প্ৰেমিক কে
হৃদয়েৱ লাইব্ৰেৱি!
সমাজ হিতৈষীদেৱ হিতাহিত ৱেখা উদিত হউক
ভোৱে ওঠা সূৰ্যেৱ মতো।
25/01/2019 সিলেট।

————————————–

#এবং_ভালোবাসা
#শিমলা

আমার শীতল চোখের অনুচ্চারিত উচ্চারণে ও শব্দের বিপুল গাঢ়তা ছিলো,
দেখনি বলে ধরে নিলাম তুমি অপারগ।
থমকানো সুরে চললের ব্যাঘাত স্বাভাবিক
পেছনে ফিরবো না বলে এগিয়ে গেলাম অনায়াসে শব্দের গায়ে আঁচড় কাটতে কাটতে,
রক্তাক্ত শব্দদের দুই হাতের মুঠোয় ভরে কবিতাকে করেছি বিবাগী।
ছন্নছাড়া কবিতার গা বেয়ে হয়তো কখনো গজিয়ে উঠবে দু’একটা গুল্মলতা,
আবেগের অনুসন্ধিৎসু আলোয় হবে তাদের বাস,
মহীরুহ হবার সম্ভাবনা সেখানে নিতান্তই গৌণ ।
এভাবে বুঝতে না পারার অপারগতায় ভেঙে গেছে কতশত নির্মাণ
এবং ভালোবাসা।


—————————————-

*** তবু ফিরে যাই ***
ইব্রাহিম সেখ, রাজারামপুর, মুর্শিদাবাদ (পঃব)

ফিরবার জন্য আসি নাই তবু ফিরে যাই
পড়ন্ত বিকেল বেলায়- কোন সে ব্যথায়,
মনের অজান্তে, চোখের তারায়- অশ্রু ভাসায়!
নীল আকাশে দক্ষিণা বাতাসে,কে যেন হাসে!
নিষ্ঠুর বিদ্রুপে, ধরণী নিশ্চুপে দূরে দাঁড়িয়ে–
চলেনা চরণ দুটি কেমনে দিলে গো ছুটি
আর বুঝি প্রয়োজন নাই,তাই-জানালে বিদায়!
হৃদয়ের গভীরতম স্থানে, প্রেমের আসনে —
তোমাকে দিয়েছি ঠাঁই,আজ কিছু নাই!
পাখি হারিয়েছে নীড় ঢেউয়ে ভেঙেছে তীর,
ডুবেছে তরণী খানি-হাসাহাসি আর কানাকানি
তীক্ষ্ণ ছুরির মতো অবিরত আঘাত যতো–
হানছে পশুদের দলে,তবু্ও দিন যাই চলে!
পথে পথে ঘুরে এসেছি অচিন পুরে,
হারানো মাণি কাঞ্চনে ফিরে পাবো বলে।
ঝড়ের বারতা ছিন্নমূল আশালতা ধুলো মাঝে–
কতো ব্যথা বাজে,এলো না কারু কাজে,
এতোটাই অপাংতেয় হৃদয় আমার!
আজ দেখি অন্ধকার একাকার হতাশার
অমানিশার কবরে – সূর্য ডুবেছে আমার!
অদূরে দাঁড়িয়ে আছো তুমি,তোমার স্বর্ণ ভূমি
পায়ের তলায়,প্রেমের শুকনো কলি দলিত হায়!
ফিরে পাব বলে এসেছিলাম চলে,সেই তুমি নাই-
অনিচ্ছা স্বত্বেও- ব্যথাতুর হয়ে ফিরে যাই!!

রচনাকাল ( ১১ ই মাঘ ১৪২৮ সাল)

—————————————-

হঠাৎ প্রাপ্তি
——-
মনতোষ চন্দ্র দাশ

খুঁজে পেলাম নিসর্গের স্বাদ
বুনোফুলের সুঘ্রাণে,
মঞ্জরি ছুঁয়ে দিতে ঋতুশ্রী
দোলা দিলো মনঃপ্রাণে।

সবুজবীথি বসন্ত কাননে
শুনেছি পাখির কূজন,
নরম ঘাসের স্পর্শ পেলো
নবীন প্রেমিক সুজন।

পূর্ণিমারাতে ধবল জোছনা
বিলায় স্নিগ্ধ হাসি,
স্মৃতির উঠানে ভুল করে
ফোটে ফুল রাশিরাশি।

তারাদের মৌনমিছিলে নেই
একাকিত্বের দহন,
ঢেকে দিলো এই নীল-যন্ত্রণা
রাতের চন্দ্রগ্রহণ।

বিদায়ী বসন্তে সুবাস ছড়ায়
যৌবনে অবুঝ হৃদয়,
বোধিদ্রুম ছায়ায় কাটালাম
জীবনের কিছু সময়।

তারিখঃ ২৫/০১/২০২২ইং
খুলশী,চট্টগ্রাম।

—————————————

Powered by themekiller.com