# ইচ্ছার বেসাতি #৷
মাহবুবা আখতার
ও মানুষ, মানুষ গো,দেহার মরন অয়,জীবনের মরনের লগে।জীবনের কি মরন আছে?বাঁইচ্চা থাকনের ভয়,কিসের ভয়?ও-ও-মানুষ গো মাটির দেহা মিইশ্যা যাইবো মাটির বিছানায়।
পড়ি রইবে সোনার যৈবন,পীড়িতের কাওয়ালী, লাউয়ের খোলত মন্দিরা বাজাইয়া বে-ঘর করিলো সাধন যোগী।
বাসন্তীর ঘর ভাঙিলো,,জাত গেইলো,শরম খাইলো যৈবতীর পুড়া ফাগুনে।
আহা, দুঃখ দুঃখরে! ইচ্ছের ভাসানে চর জাগে রে উজান গাঙের জলে,
“সাধন যোগীর”মোহজালে সব হারাইয়া চিক্কুর পাইরা কাইন্দ্যা কাইন্দ্যা কেচ্ছা কয় বাসন্তী।” যোগী”বাসন্তীর ইচ্ছা খায়,সুখ খায়,স্বপন খায়,খায়া ফেলায় বেবাক
বসতি “যোগী”রে ভুইলা যায়না বাসন্তী, আগলাইয়া রাখে,আগলাইয়া রাখে পরানের গহীন পরানে।হাত বাড়াইলে তারে ছোঁওন যায়,ভাবের গীত গাওন যায় কিন্তুক সহস্রাব্দ ধইরা বাসন্তী গিঁট্টু বাইন্ধা রইছে বরফের নদীত,ছন্দ নাই বাসনার স্তুতি নাই,বাঁচনের ডাক দিবার মাইনষে নাই।
মাইনষেরা জাইগা থাকে,মইরা যায়,দেহা পঁইচ্চা যায়।অমাবইস্যার আন্ধার রাইতে চান্দের গ্রহন লাগে পুণ্যিমার লগে। খলবলাইয়া কাইন্দ্যা ওঠে পিথ্থিবী,
শ্বাসফাডা কষ্ট, কাঁপন ধরা জ্বর, তেঁতো-টকের অম্বল,
শরীলের উদোম গেরুয়া থান ———-
ঘর পুড়ে,জল পুড়ে,ম্যাঘের মইধ্যে ঠাডাপুড়ে,মিছিল পুড়ে,শ্লোগান পুড়ে,ঈশ্বর পুড়ে, রাজ্যি পুড়ে, পুড়ে জাগতিক নথিপত্র,”বাসন্তীর” এলেবেলে বিত্তান্ত পুড়ে।
জইমা থাকেনা আর কুনো ইচ্ছার বেসাতি।
তারিখঃ১৭.০১.২০২২খ্রি.
ঠাকুরগাঁও।