Breaking News
Home / Breaking News / কবি রিটন মোস্তফা রিটন এর লেখা “মূলা দরকার,”

কবি রিটন মোস্তফা রিটন এর লেখা “মূলা দরকার,”

– মূলা দরকার –

সকালে উঠে নাস্তা সেরে আজ সকালে বড় আপার চাপে মূলা কিনতে কাঁচা বাজারের দিকে রওনা হলাম। নাস্তা শেষে চা খাওয়া হয়নি। তাই বাড়ির পাশের মোড়ের একটা চা-এর দোকানে ঢুকে চা-এর অর্ডার দিলাম। দোকানে ঢুকতেই দেখি রাজিব ভাই। ওকে গল্প করতে দেখলাম চা-এর দোকানদারের সাথে…।

– কী?, ও তোমার টাকা মেরে দিয়েছে? রাসেল এই কাজটা তোমার সাথে ঠিক করেনি। আসলে ও আমার সাথেও এরকম ঠকবাজি করেছে। ওর সাথে সম্পর্ক রাখা মানেই গাঁজা খোর হওয়া। রাসেল পাক্কা একটা গাঁজা খোর, আর ওর সাথে যে যে থাকে তারাও ঐ একই জিনিস।

কথা গুলো বলে রাজিব ভাই দোকানদারকে আরেকটা সিগারেট দিতে বলে সেটা নিয়ে টানতে টানতে দোকানদারকে কি যেন কি কারণে খুশি করার জন্য রাসেলের নামে গাঁজা খোর গাঁজা খোর বলেই যাচ্ছে।

আমার চা খাওয়া শেষ। বসে বসে ওদের গল্প শুনছিলাম। এবার উঠলাম। কাঁচা বাজারের দিকে রওনা দিলাম। আধা ঘন্টা ধরে খুঁজে খুঁজে ভাল মূলা কিনে বাড়ির পথ ধরলাম। বাড়ির কাছাকাছি আসতেই একটা সরকারি কলেজের খোলা মাঠ পড়ে। সেখানে ইয়ং ছেলেরা সবসময়ই আড্ডা দেয় গোল করে একসাথে বসে। হঠাৎই চোখ পড়ল রাজিব ভাই এর দিকে। একটু আগে যে চায়ের দোকানে রাসেল সম্পর্কে দোকানদারকে গাঁজাখোর বলেছিল। এখন দেখি সেই গাঁজা খোর এর সাথেই রাজিব ভাই গলা ধরে বসে ঠাট্টা তামাসা আর ঢলাঢলি করছে।

আমি সবসময় একটু পাগলাটে এবং অদ্ভুত সব চিন্তার মানুষ। এজন্যই অনেকে আমাকে সহ্য করতে পারে না। ওদের ঐ দৃশ্য দেখে আমার মাথায় খুব জোরাল একটা প্রশ্ন জেগে উঠলোঃ

আসলে প্রকৃত গাঁজা খোরটা কে? রাজিব? না কি রাসেল? না কি আমি নিজেই?

মূলার ব্যাগ হাতে চিন্তিত অবস্থায় আবার হাঁটা ধরলাম…

Powered by themekiller.com