কবিতাঃ “মৃত তাই”
কলমেঃ এম. আর হারুন
০৭/১২/২০২১
———————————-
মধ্যরাতে ভুতুম পেঁচার ডাক শুনে ঘুম ভেঙ্গে যায়
নীরবতার খুঁনসুটিতে পড়ে থাকি নিভৃতে
গভীর ঘুমটা ভেঙ্গে চৌচির হয় বুক,
কাকে নিয়ে কেটে গেলো বিশটি বছর
কার পাশে ঘুমালাম বিশ্বাস নিয়ে
বিশ্বস্ততার আবরণে জড়িয়ে সুখ।
মধ্যরাতে দেখা আমার স্বপ্ন মিথ্যা হয়না
খুব ভয় হয়, যদি আমায় হত্যা করে
যদি গলা চেপে ধরে,
কোথায় বিশ্বস্ততার কমতি ছিলো
দিবানিশি খাটুনি খেটে
হাসি মুখে এক বেলা ভাত পেটে যায়নি
যেনো অভিজ্ঞতায় বুক ভরে।
সংসার এবং বিয়ে দুটি মাত্রাই বিধাতা লিখেন
কপালেতো সুখ চেয়ে আনিনি
একের পর এক অপবাদের ভান্ডার,
কোনো অপরাধ ছিলোনা আমার
মিথ্যাবাদী এক নারীই আমার ঘরনী
যে মিষ্টি হেসে কথা বলে ভিতর করে অঙ্গার।
বহুমাত্রিক বিচারের সম্মুখীন হয়েছি বার বার
বিনা দোষে দোষি হয়েছে পরোপকারী এক নারী
যাকে নিয়ে সংসার থেকে জমিন পর্যন্ত
মান সন্মান নিয়ে করেছে খেলা,
আমি যার খাই, পড়ি কিংবা পাশে ঘুমাই
তাকে নিয়েতো বারংবার মিথ্যা অপবাদ দিতে পারিনি
সে যদি বারবনিতাও হয়, চলে কষ্টের ভেলা।
আমার চোখে দেখা এমনই কিছু সংসার
মিথ্যার কড়াল গ্রাসে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে
বিশ্বাসহীনতায় মরীচিকায় মগ্ন হয়ে
একটার পর একটা আঘাত করেছে,
এমন নারীই বা সংসার করে কিভাবে
পুরুষটি প্রতি মুহুর্তে জ্বলছে, পুড়ছে
বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে বিবেকহীন হচ্ছে।
আসলে বেঁচে থেকেও
পুরুষটি “মৃত তাই”।
( বাস্তবতা দেখে এ কবিতাটি লিখেছি, কাউকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা মন্তব্য করিনি, সমাজে এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে, এমন কিছু সংসারে বিষন্নতায় ভুগছে কিছু পুরুষ, আমার চোখে দেখা বাস্তব নীরিখটাই তুলে ধরলাম)