Breaking News
Home / Breaking News / পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্যামল ব্যানার্জীর “ধর্ম ও মানবিকতা”

পশ্চিমবঙ্গের কবি শ্যামল ব্যানার্জীর “ধর্ম ও মানবিকতা”

ধর্ম ও মানবিকতা
শ্যমল ব্যানার্জী
১৭/১০/ ২০২১

ধর্ম নিয়ে আজকাল বড্ড চেচামেচি হচ্ছে। অনেক কবি ধর্মের ওপর কবিতাও লিখে ফেলছেন। অনেকে অনেক কথা বলছেন।
তাহলে, এরা কারা? —–
নবী হজরত মুহাম্মদ, যীশু খ্রীস্ট, তথাগত বুদ্ধদেব, মহাবীর জৈন, চৈতন্য দেব,রামকৃষ্ণ, এরা কারা? এরা কি ধর্মের কথা বলেননি?
এরা কি, ধর্ম কি বুঝতেন না?
আসলে, সেই যুগ যুগ ধরে সনাতন ধর্ম বলতে যা বোঝায়, ওপরের উল্লিখিত সব মহাপুরুষ বা সত্য দ্রষ্টা কিংবা প্রফেট যাই বলুন না কেন, তারা সবাই একই সত্যকে দর্শন করেছেন, একই সত্যকে উপলব্ধি করেছেন, একই সত্যকে ধর্ম বলে মেনেছেন। আর সে ধর্ম হলো মানবিকতার। মানুষের সেবার।
কিন্তু, যেদিন আদিম মানুষেরা একটু একটু করে সভ্যতার পথে পা বাড়ালো, বস্তু বিনিময়ের মাধ্যমে আদান প্রদানে মুনাফার গন্ধ পেলো, ব্যাস কায়েমি স্বার্থ চলে এলো। আর সেই থেকে মানুষ ধর্মকে নিজের স্বার্থে আজও ব্যবহার করতে শিখে গেলো।
আসলে, ধর্মকে মানুষ বড়ো ছোটো করে ফেললো।
কোনো রাষ্ট্র বা দেশ ভেদে ধর্ম তার স্বকীয়তা হারায় না। যেকোনো রাষ্ট্রের বা দেশের মানুষগুলোই ধর্মকে বিকৃত করে নিজেদের কায়েমি স্বার্থে।
সনাতন ধর্ম সে যে রাষ্ট্র বা দেশেরই হোক না কেন, তা মানুষে মানুষে বিভেদের কথা বলেনা। ধর্মান্ধ কিছু মানুষ স্বার্থের মুনাফা লোটার জন্য মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে বাঁচিয়ে রাখতে চায় শুধু তাদের হীন স্বার্থের তাগিদে।
কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে পারসী, কে জৈন্য, কে বৌদ্ধ? রক্তের রঙ কি আলাদা সব? সেই রক্ত ঝরলে তো সবার রক্তের রঙই লাল। তবে,কেন এত বিভেদ? সনাতন ধর্ম বরাবরই সহনশীল।
আসুন না আমরা সবাই সেই সহনশীলতার পরীক্ষা
দেই আর বলি ধর্ম মানুষকে ইউনাইটেড হতে বলে। ধর্ম মানুষকে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলে। কোনো বিভেদ নয়, হানাহানি নয়। নিঃশ্চিন্ত , নিরুদ্রপ জীবন চাই
এ কথা ভুললে চলবে না যে নবী হজরত মুহাম্মদ, যীশু খ্রীস্ট, তথাগত বুদ্ধদেব, মহাবীর জৈন, শ্রী চৈতন্য দেব, অধুনা রামকৃষ্ণ দেব, এদের মধ্যে কোনো বিরোধ ছিলোনা কারন প্রকৃত অর্থে সব ধর্মের মূল বাণী এক এবং সত্য। আর সেই সত্যের খাতিরে কোনো ধর্মের প্রতি কুৎসা নয়, শ্রদ্ধা রাখুন। কারণ , মনে রাখবেন পবিত্র কোরাআন আর পবিত্র গীতা, বাইবেল সব আধুলির এ পিঠ ও পিঠ। সব পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ এক সত্যের কথাই বলেছে। কায়েমি স্বার্থান্বেষী মানুষগুলো শুধু পবিত্র কোরাআন বা গীতা কিংবা বাইবেলের, ইচ্ছাকৃত অপব্যাখ্যা করে আমাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আর আমরাও তাদের পাতা ফাঁদে পড়ছি। অনুরোধ একটু ভাববেন।

Powered by themekiller.com