কবিতাঃ বন্দিনী
সা।ল।মা।ড।লি।
১৭.১০.২০২১
~~~~~~~~~~
এই যে দেখছো,শ্বেতপাথরের ভগ্ন রাজপ্রাসাদ!
শেওলা জমে জমে হয়েছে বিভৎস।
এটাই ছিল আমাদের প্রেমের তাজমহল।
ছিল কত বিত্ত বৈভব,দাসদাসী
সন্ধ্যে হলেই বসতো জলসা
নৃত্যগীত আর সায়রীর।
হিমাদ্রি শ্যামের সায়রী শুনে করতালিতে মুখরিত হতো মহল।
আমাদের যুগল নৃত্যগীত জুড়িয়েছে
কত মহামনীষির তৃষিত হৃদয়।
ছিল আরো কত রকমের ঐশ্বর্য
সেই ঐশ্বর্যের বর্নিল শিখা তখন
এখানে ছিল সাড়ম্বরে দীপ্যমান
একদা কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে!
আমি হলেম বন্দিনী ঘুংগুরের ফাঁদে,
সুরার পেয়ালায়।
এখন আছে দহন শেষে কালো দাগ,
ছাই আর কয়লা।
যা সুগন্ধি ছড়িয়ে সাক্ষী দিচ্ছে
কত পুষ্প, কত কেসার আর দামী
উপটৌকন আসতো হেথায়।
আজ এখানে কিচ্ছুটি নেই
ঘুমরে কাঁদে নিশুতি আত্মারা।
তবু আজো জেগে আছে একটি মাত্র
কম্পমান ক্ষীণ দ্বীপশিখা,
যা মাঝে মাঝেই দপ করে
নিভে যাবার উপক্রম হয়।
দু’হাতে আড়াল করে শেষ শিখাটুকু
বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে,
নিজে বেঁচে আছি।