বিভাগ-পত্র সাহিত্য
শিরোনাম- শুভ অষ্টমী তিথিতে পার্বতীকে প্রার্থনা(পত্র)
লিখনে- প্রণব চৌধুরী
তারিখ-১৩,১০,২০২১
প্রতি,
শ্রীচরণ কমলেষু মা,
পার্বতী,
শুভ অষ্টমীর পূর্ণ প্রাতে প্রাণ ভরে আর্শীবাদ চাইব মা পার্বতির কাছে,
পারত পক্ষে কোনো পক্ষপাতিত্বের পক্ষ অবলম্বন না করে প্রাণের দৃষ্টিতে করো মা পর্যবেক্ষণ,
পরেতে প্রাণে পরাণ থাকতে থাকতে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করো প্রাণ পৃথিবীর এই প্রার্থিব প্রাণী জগতে ৷
মা,
তুমিতো মহামায়া,
মনের মনন্দিরের মর্মর মুর্তি,
মোদের মরমে কে বা কারা তোমার মন্দির স্থাপনা করে মনকে গরে তুলেছে মন্দির,
প্রতিষ্ঠিত করেছে তোমার বিগ্রহ,
কে বা কারা তোমার কোমোল কথা( বাক্য) কে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে,
করে তোলে কমনীয়,
কে বা কারা কাঙ্খীত কামনার কামভাবে কামুক হয়ে কলিঙ্গ ও কামরূপে সবর্পরি কলকাতা, করোতোয়াকে করে কর্দমাক্ত,
নেমে আনে কঠিনের করাল কামড়ের বিভীষিকা,
তুমিতো সব জানো কাত্যায়ণি ?
তবে এ কেমন তোমার কর্তব্যপরায়নতা ?
নাকি ?
কঁচি কঁচি পাঁঠা কোতল করে যারা,
কামনা(পূজিত)করবে তোমায়,
তুমি কি তাদেরই শুধু করবে আর্শীবাদ ?
হোক না কেন করমন্ডল, কঙ্কণ কঠিনের করালে ?
আর যাঁরা ?
অশান্ত আশমানে তোমার অবণীর অনিল ও আবহকে অনবরত অবিশ্রান্ত অবিরত অসম্ভব অক্লান্ত পরিশ্রম করে তোমার অবাক্ষ্য অবয়ব কে অরক্ষিত না যেন করতে পারে তারজন্য আরক্ষা বাহীনির ন্যায় অসম্ভব কে সম্ভব করার প্রয়াস চালিয়ে যায় অবিরাম,
তবে কেন সেই আবালবৃদ্ধবণিতাদের আহোরাত্র ঝরাও অশ্রুজল ?
কোনো উত্তর আছে কি তোমার কাছে ?
দুর্গা দুর্গতিনাশিনী ?
দলনে দলিত করে দহনে করে দাহ,
দুর্নিবার গতিতে তোমার দ্যুতি দমনে পীড়ন করে
দরিদ্র থেকে করো দরিদ্রতর,
এ কেমন দলিলে করো দস্তখত ?
তাই এক অপাঙতেয় ভক্তের করুন নিবেদন,
ভক্তের ভান্ডামী ও
ভক্তি দেখে ভুবন কে করে তোলো ভালোর ভালো ৷
প্রকৃত ভক্তের ভক্তিকে ভড়িয়ে দাও তোমার আর্শীবাদে,
ভন্ড ভক্তের ভন্ডামীর ভাঁড়ার কে ভেঙ্গে দাও ভরা হাটে ৷
আশাকরি এই মর্মের মর্মন্তুত মর্মবেদনে মহামায়া তুমি সাড়া দিয়ে পুনরায় মহীয়ষির মান মর্যাদা প্রদান করবে ৷
———– ইতি
এক অসহায় ভক্ত মর্তলোক। ১৩,১০,২০২১,