Breaking News
Home / Breaking News / শব্দনগরের প্রতিষ্ঠাতা রিটন মোস্তাফীর বিজ্ঞান ভিত্তিক অজানা তথ্য” ● বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বিশ্বাস ● পর্ব- ০২

শব্দনগরের প্রতিষ্ঠাতা রিটন মোস্তাফীর বিজ্ঞান ভিত্তিক অজানা তথ্য” ● বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বিশ্বাস ● পর্ব- ০২

● বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বিশ্বাস ●
( বিজ্ঞানের মাহান আবিষ্কার )
পর্ব ০২ [ রিভিউ ]

গত পরশু আমি “বিজ্ঞান, ধর্ম এবং বিশ্বাস” শিরোনামে ধারাবাহিক লেখা শুরু করি। যেখানে অসংখ্য মতামত আমাকে উৎসাহিত করলে প্রয়োজনেই বলতে হচ্ছে আমি ঐ পর্বে বিজ্ঞান এর মহাকাশ আবিষ্কার এবং তার সিদ্ধান্তের অনেকাটাই টেনেছিলাম যেখান থেকে হয়তো অনেকের ধারণাই হতে পারে বিজ্ঞান মহাকাশ যাত্রার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার বিপক্ষে আমি। আশলে গভীর ভাবে যদি লেখাটা পড়েন তাহলে উভয়টাই লক্ষ করবেন। আমি হাবল টেলিস্কোপ এবং ভয়েজারের কথা এনেছি। আমার ঐ লেখার ভুল ধারাণাটা একটু হাল্কা করার জন্য বলিঃ
মানব ইতিহাসের সব থেকে মহান দুটি আবিষ্কার হাবল টেলিস্কোপ এবং ভয়েজার। যে দুটি বিজ্ঞানের সৃষ্টি আমাদের হাজার বছর ধরে আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে হাজারো রূপকথার এবং ধারণাই পাল্টে দিয়েছে। হাবল টেলিস্কোপ দেখিয়েছে আমাদের এই পৃথিবী মহাশূন্যের বিন্দুর ও হাজার ভাগের এক ভাগও হয়তো এক ভাগ। যে লক্ষ্য লক্ষ্য তারার দিকে তাকিয়ে আমরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অপার সৌন্দর্যের পাশাপাশি অসংখ্য প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে থেকেছি আসলে ওগুলো গ্রহ উপগ্রহ সৌরজগত সহ অগণিত মেটার। যা মহাশূন্যের কল্পনাতিন এলাকা জুড়ে নির্দিষ্ট একটি আচরণ, বা বিভিন্ন ভাবে হয় বিভিন্ন মেটারকে কেন্দ্র করে আবর্তনের কাজ করে যাচ্ছে। দেখিয়েছে আমরা এই পৃথিবীর একমাত্র গ্রহ, সৌরজগত, বা মেটার না। এসব ছাড়াও কোটি কোটি সৌরজগত রয়েছে যা নিজেরাও ঘুরছে। এবং এই মহাশূন্যের কোন কোন এলাকায় একটি সৌরজগত ঘুরতে ঘুরতে আরেকেটি সৌরজগতের সাথে সংঘর্ষে মিলিত হচ্ছে। এতে হয় নতুন নতুন মেটার, এস্ট্রোয়েডের জন্ম দিচ্ছে। হাবল টেলিস্কোপ দেখিয়েছে এমন একটি গোলাকার অন্ধকার জগত রয়েছে যা অসংখ্য মৃত সৌরজগত এবং গ্রহের এলাকা হতে পারে।

মানব ইতিহাসের আরও একটি আবিষ্কার ভয়েজার এক এবং দুই। যেটি সংক্ষেপে বললে বলা যায় প্রায় চল্লিশ বছর ধরে আমাদের সৌরজগতের সমস্ত গ্রহ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে গেছে। মানব ইতিহাসের এই আবিষ্কার তাদের মহামুল্যবান তথ্য দিয়ে গেছে। দেখিয়েছে আমাদের প্রতিটি আত্মিয় গ্রহ গুলো সম্পর্কে। তাদের অবস্থান, গঠন এবং এর বিভিন্ন বিষয়। বিজ্ঞানের এই মাহান ভয়েজার দুটো আমাদের সৌরজগতের সমস্ত গ্রহকে প্রদক্ষিন করে এখন আমাদের সৌরজগতের বাহিরে চলে যাচ্ছে। এটাই একমাত্র আবিষ্কার যেটা সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করে লম্বা ৪১ বছরে যাত্রার সময় আমরা আমাদের সৌরমণ্ডলের এমন এমন তথ্য দিয়ে গেছে। এখন ভয়েজার রয়েছে যেখানে সেখানে সূর্যের আলো পৌছাতেও ১৭ ঘন্টা লাগে। ভয়েজারের এই সৌরজগতের যাত্রার শেষের দিকে আমাদের পৃথিবীর দিকে ফেরানো হয়। এবং তার ক্যামেরায় আমাদের পৃথিবীর সব থেকে দূরত্বের অবস্থান থেকে তোলা ছবি আমাদের হাতে আসে। যেটা ডটের সমান।

এই ব্রহ্মান্ডের বাহিরে ভয়েজারের সাথে যাচ্ছে আমাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে অনেক তথ্য এবং চিত্র নিয়ে।

বিজ্ঞানের এই মহান আবিষ্কার আমাদের মহাকাশ সম্পর্কিত এমন সব সব আদিম ভুল ধারণাই পাল্টে দিয়েছে যা অনেক ধর্মের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। আমি এ বিষয়ে ধর্ম নামক পর্বে বলার চেষ্টা করবো।

এর পাশাপাশি বিজ্ঞান আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তির রাস্তা আবিষ্কার করেছে। জীবন যাপনের ক্ষেত্রে এনেছে এমন সব আবিষ্কার যা আমাদের পৃথিবীকে হাতের মোঠোয় এনেছে তেমনি দিয়েছে আয়ু বৃদ্ধির মত মহান আবিষ্কার।

দ্রঃ আমিও বিজ্ঞানের মতোই শিওর না যে একমাত্র পৃথিবীতেই জীবনের অস্তিত্ব রয়েছে। এমনও হতে পারে যে আমাদের আবিষ্কারের বাহিরে অন্য কোন গ্রহে জীবন অন্য কোন রূপে, অন্য কোন অস্তিত্ব নিয়ে বিকশিত হচ্ছে।।

আমি বিজ্ঞান বিদ্বেষী নই। আবার ধর্মান্ধও না। আমারও ধর্ম আছে, যেমন আছে নাস্তিকদেরও ধর্ম যেটা বিজ্ঞান। আমি আমাদের বিশ্বাসের প্রতি যৌক্তিক কিছু কথা বলার জন্যই এই পর্বের মূল উদ্দেশ্য।।

চলবে—

Powered by themekiller.com