কবিতা– একদিন নীলাঞ্জনা বলেছিলো
শ্যামল ব্যানার্জী
১৯ /০৯ /২০২১
চলো একবার, শেষবার, আমরা দুজন
উচ্ছন্নের পথে যাই,
না হয় নষ্ট হলাম একসাথে,
জীবন তো অনেক নিলাম দেখে,
বাকিটা না হয়, দেখবো এবার আদিম বন্যতায়।
চলো, চলে যাই একবার উচ্ছন্নের পথে।
ঐ যারা মোরামের পথ ধরে গিয়েছে হারিয়ে রাজপথে,
ফেরেনি আজও তারা, রঙ মাখা মুখে,
জীর্ণ বসতির ঘরে।
কত মিছিল এলো গেলো,
বিবর্ন ঘরের রঙ ফেরেনি এতটুকু,
এখনও অন্ধকার ঘিরে আছে চারপাশ।
তুমি নিজেই তো বলেছিলে,
এসব ছাড়ো, সিস্টেমের এরা অংশীদার
একদিন, সস্তার মদের বোতোলে তুলবে ঝঙ্কার,
তবে আমরা নয় কেন? হিপটোনাইজ করতে পারি বলে?
চলো, আমারও চলে যাই কোনো এক উদ্দাম,
আদমের জন্মদিনে।
তবুও কথা থাকে, —
কথা আছে। কথা থাকে অব্যক্ত, অপ্রকাশিত।
কথা থাকে মন জুড়ে, দামাল ছেলেটার মতো।
দলছুট মেঘের মতো এলোমেলো, কথা সব জড়িয়ে থাকে কথার ভিতর,
তোমাকে না পাওয়ার কথা, নিশ্চুপ নিথর।
কথা থাকে দেওয়াল লিখনে,
কথা থাকে বিজ্ঞাপনে,
না বলা কথা যত ঠোঁটের উষ্ণ আলিঙ্গনে।
তবুও কথা থাকে ঝড়ের মতন তোলপাড় করে,
এক ঝাক পায়রার মতো বকবকম করে যায়,
কত আনন্দের দুঃখ কষ্টের সাতধনু রঙ মেখে
হৃদয় ভরায়।
আমিও একদিন কিছু বলতে চেয়েছি তোমায়,
বাতি স্তম্ভের নীলাভো আলোয় তোমার মুখ
দেয়নি সময়।
কথাগুলো সব কুহকী মায়ায় অকারণ ঢেকে গেছে।
আজ বহুদিন পর পশ্চিমের আকাশ ভরেছে খবরে,
আসছে শহরে নীলাঞ্জনা,
বস্তাবন্দী সেই কথাগুলো আজ কেন উঁকি মারে,
আজও বলার জন্য কেঁদে যায়।
নীলাঞ্জনা, বলেছিলে, নষ্ট হতে চাও তুমি আমার সাথে,
সে কথা রাখোনি আজও।