Breaking News
Home / Breaking News / পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কবি অনমিত্র স্যানাল এর কবিতা ” সীমাহীন আলো”

পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত কবি অনমিত্র স্যানাল এর কবিতা ” সীমাহীন আলো”

সীমাহীন আলো

অনমিত্র..

” রিটন.. তুমি তো নীড়ছাড়া চতুর্ভূজ..
অকৃত্রিম আলো..
চাঁদের আলোর কি দর যাচ্ছে জানো..?
ওঃ হো তুমি ই তো সে..একমুঠো সীমাহীন আলো…”

..একঝাঁক সারমেয় কিনতে এসেছিলো..দরদাম , পুছতাজ..ফিটফাট জামা পরা, উল্টো হেমিস্ফিয়ার..
বিক্রি নেই শুনে,
চটজলদি বাতাসে মেলালো..মেঠোধূলো মেখে , পিশাচের সব মুখ, পাতাঝরা বনে দিব‍্যি লুকোলো..

” বিক্রি নেই এ চাঁদের আলো, বিক্রি নেই..”

সরকারি ঘোষণা-পত্রে ওঠেনি এখনো, আলোর কি দর,
ফাইলের শেষ পাতা অবহেলায় দিব‍্যি পড়ে আছে..
এ-তো আর নীলকন্ঠ পাখি নয়..গুন্তিতে কিনে নিয়ে যাবে..কিম্বা কিলো-দরে..
সব আলো সহজে বিকোয় না..

চাঁদের আলো কিন্তু চুল্লির আগুন নয়..
রিটনের চাঁদের আলোতে আছে রোজ পুড়ে যাওয়া, অথচ বুকের মধ্যে
একটা জাহাজ পুষে রাখে..
নরম আলোয় আঁকতে পারে অজস্র রূপান্তর.. নির্মম কদাকার মুখ, যেগুলো মুখিয়ে থাকে ওকে গ্রাস করবে বলে..
কোনোটা আয়তক্ষেত্র..কোনোটা রম্বস, শঙ্কু, বৃত্ত কিংবা গোলোক..
সবার মুখেই কিন্তু আটফাটা টাঁড় জমির মতো কৃষকের খাঁ খাঁ বুকে দেগে দেওয়া প্রতিহিংসার আগুন..
এ আগুন চুল্লির..
এ আগুন পুড়তে পুড়তে শুধু ক্ষয়ে যায়..
নির্বাপিত ছাই টুকু পড়ে থাকে..
চাঁদের নরম আলোর তাতে ক্ষতি নেই..

সে জাহাজ হয়ে ভাসতে থাকে..বুকের মধ‍্যে এক এক করে চুল্লিরা সব নেভে,
নামাজের শেষে দুহাতের মুষ্ঠি খুলে দেখো..দু-মুঠো ঈশ্বর লেগে আছে,
সেই জাহাজের ভোঁ আমি শুনতে পাই..শুনতে পাই অস্থির ঐতিহ‍্যের আনাগোনা..
নিভৃত পদক্ষেপের খস খস গজ গজ..
রোজ রোজ পুড়ে যাওয়া থেকে, এই ভালো,
আমিও ভাসতে চাই..তোমার ঐ কুসুম আলোয়..

সব চুল্লি নিভে গেলে চাঁদের আলোয় এঁকো ভেষে যাওয়া জাহাজের ছবি..লাল ফিতে খুলে এনো জ‍্যামিতিক চন্দ্রালোক..

সব চুল্লি নিভে যাবে হিংসের তেলকালি মেখে …
থেকে যাবে জাহাজের ভোঁ..

error: Content is protected !!

Powered by themekiller.com