Breaking News
Home / Breaking News / কচুয়ায় কবিরাজির ঔষুধে রোগ ভালো না হওয়ায় শপথ করার পর টাকা ফেরত পায় এক ভুক্তভোগী

কচুয়ায় কবিরাজির ঔষুধে রোগ ভালো না হওয়ায় শপথ করার পর টাকা ফেরত পায় এক ভুক্তভোগী

মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলার রহিমানগর উত্তর বাজার পোষ্ট অফিস সংলগ্ন কবির হোসেনের রাইচ মিলের ড্রাইবার বিপ্লব (৩৪) নামে এক যুবকের কবিরাজির ঔষুধে রোগ ভালো না হওয়ায় শাহপুর দরবার শরিফের দান বাক্সে হাত রেখে কসম কাড়লে ৩ হাজার টাকা ফেরত পায় স্থানীয় ১১ নং ইউনিয়নের অধিবাসী আব্দুল কাদের নামে এক ভুক্তভোগী রোগী। বিপ্লব রহিমানগর বাজার সংলগ্ন বলারা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। প্রতিদিন সকালে তার বাড়িতে উল্লেখ জনক রোগী আসে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়া বাজারে অবস্থিত আল-আরাফা ইসলামি উপ শাখা ব্যাংকের সিকিউরিটি হিসেবে চাকুরী করে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন থেকে কিছু লিখতে গেলে তার হাত কাপে। বহু ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় ওই কবিরাজের কাছে যায়। কবিরাজির প্রসংঙ্গে বিপ্লব কাদেরকে জানান, সে নাকি শাহপুর, আটরশি,মাইজ ভান্ডার ও আজমির শরিফসহ যত অলি-আল্লাহ আছে তাদের মাধ্যমে কাজ করে। কাদেরের রোগ মুক্তির জন্য কত টাকা লাগবে জানতে চাইলে বিপ্লব তাকে জানান,আপনি কাল আইসেন,রাতে অলি-আল্লাহ”র কাছে আপনার রোগের কথা বলতে হবে এবং কত টাকা লাগবে। পরেরদিন কাদের কবিরাজ বিপ্লবের কাছে গেলে, ৪১ দিনের মধ্যে রোগ সম্পূর্ণ মুক্ত হবে বলে ৬ হাজার টাকা দাবী করলে নগদ ৩ হাজার টাকা দিয়ে গাছ-গাছাড়ির কিছু বড়িসহ দুইটি তাবিজ দেয় এবং কথা থাকে রোগ মুক্ত হলে বাকি ৩ হাজার টাকা পরিশোধ করবে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাষ ৪১ দিন পর রোগ মুক্ত না হলে কাদের ওই ৩ হাজার টাকা ফেরত চায়। কবিরাজ সম্প্রতি থেকে টাকা ফেরত দেই দিচ্ছি করে তালবাহানা করার পর (৮ আগস্ট) রবিবার ভুক্তভোগী কাদেরকে শাহপুর দরবার শরিফের দান বাক্সে হাত রেখে রোগ ভালো হয়নি বলে কসম কাড়ার পর কবিরাজ বিপ্লব ৩ হাজার টাকা ফেরত দেয়।

এ ব্যাপারে কবিরাজ বিপ্লব ৩ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার কথা স্বীকার করে জানান,আমাকে অলি-আল্লাহরা স্বপ্নে দান করেছেন, গোলাপজল,পানি ও সরিষার তৈলে ফুঁ এবং বিভিন্ন গাছগাছাড়ির বড়ি বানিয়ে ৩ বছর দুইমাস যাবত সকল রোগের কবিরাজি করছি। বহু মানুষও উপকৃত হয়েছে এবং হাদিয়া (মূল্য) হিসেবে ২”শ ৫ টাকা করে নেই, এই টাকা আমি খাইনা ১ লক্ষ টাকা জমা হলে শাহপুর দরবার শরিফে দিয়ে দেবো। এ পর্যন্ত ৩ বছর দু”মাসে ৪০ হাজার টাকার মতো রহিমানগর বাজারের সেন্ট্রাল ড্রাগ ফার্মেসীর মালিক জসিম উদ্দিনের কাছে জমা দিয়েছি এবং হয়েছে।

জসিম উদ্দিন তা স্বীকার করে জানান, আমি জানি সে কবিরাজি করে এবং ১ লক্ষ টাকা হলে সে শাহপুর দরবার শরিফে দেবে বলে প্রায় ১ বছেরের বেশি সময় থেকে অল্প অল্প করে ওই টাকা জমা দেয়। কসম কাড়িয়ে টাকা ফেরত দেয়ার ঘটনাটি এলাকায় আলোচনা-সমলোচনার ঝড় বইছে।

Powered by themekiller.com