মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহারপাড় গ্রামের প্রবাসী সরোয়ারের স্ত্রী দু-সন্তানের জননী পাপিয়া নুসরাত (২৫) ও পাশাপাশি ধামাই গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ১ সন্তানের জনক শিপন প্রকাশ স্বপন (২২) সাথে পরকিয়ার ঘটনা শালিস না মানায় সরোয়ারের মা মোসাঃ ফিরোজা বেগম বৃহস্প্রতিবার (৫ আগস্ট) বাদী হয়ে কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগে প্রকাশ ৩০ আগস্ট রাত ১২ টার পর ১ নং বিবাদী স্বপন পাপিয়ার কক্ষে আসলে শাশুড়ি ফিরোজা বেগম একই ঘরের পাশের রুমে ঘুম থেকে জেগে উঠে টের পেয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে হাতে নাতে ধরে এবং এ নিয়ে পরের দিন ৩১ আগস্ট একটি শালিস বৈঠক শেষে পাপিয়া নুসরাত দু-সন্তান নিয়ে পাশাপাশি একই ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে তার নিজ পিত্রালয়ে চলে যায়। এছাড়াও পাপিয়া শশুরালয়ে স্বামীর অনুপস্থিতে আরো একাধিক অনৈতিক ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগে উল্ল্যেখ রয়েছে। পাপিয়া পিত্রালয়ে চলে যাবার পর ওই শালিস বৈঠকের আপোষ মিমাংসা মানছেনা বলে এলাকার মেম্বার ও মাতব্বরা জানিয়ে দিলে ফিরোজা বেগম থানায় এ অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযুক্ত শিপন প্রকাশ স্বপন জানান,আমি একজন সবজি ব্যবসায়ি, পাপিয়ার কাছে টাকা পাওনা ছিলাম এবং তার একটি নস্ট মোবাইল সেট ঠিক করার জন্য আমাকে ফোন করে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে বলে। তাই আমি রাত প্রায় পোনে একটার দিকে আসলে পাপিয়ার দেবর রেফায়েত এবং অন্যান্য লোকজন আমাকে আটক করে।
পাপিয়া নুসরাত জানান,স্বপনের এসব কথা মিথ্যা এবং তার সাথে আমার কোনো অবৈধ সম্পর্ক নেই, সে উদ্দেশ্য প্রমানিত ভাবে বাড়িতে ঢুকেছে।
ছবিঃ অভিযুক্ত শিপন প্রকাশ স্বপন