কবিতা- বিদায় দে মা
কলমে- নির্মল দাশ ঝুঁটন
তারিখ – ০৩/০৮/২০২১ইং
—
ওহে মাতৃসম মোর স্নেহময় কুঠির
ম-ম শ্বাশত জীবনের প্রসশ্ত শান্তির নীড়।
তোমা পদতলে ম-ম হৃদয় প্রফুল্লচিত্তে ঢলে
সর্বদা তব সুখে শান্তি খুঁজি ম-ম অশ্রুজলে।
ম-ম জীবন কলি তোমা তেই পূর্ণ – পূর্ণ মোর কথাকলি
তুমিই ম-ম মনের মাধুরী সুরঞ্জলী।
ম-ম অঙ্গে মাখামাখি তব পবিত্র ধুলি
শিখিয়েছো কতো মধুময় তেজস্বী উজ্জ্বল শোভময় বুলি।
আধো আধো কথার প্রণয়ে মাধুরী মিশিয়ে দিয়েছ মুখে তুলি
স্বর্গ মর্ত্যে ত্রিভুবন বিজয়ী পবিত্র মা বুলি।
প্রতিটি ধ্বনিতে দিয়েছো কর্ণতে আদর্শের বানী
সেই আদর্শের মাহিত্ব্য বানী আজ অবধি না বুঝি আমি।
ওগো মমতাময়ী মাতৃসম কুঠির
তোমা মোহে করোনা আমায় আর দৃঢ়।
ঐ দ্যাখ! পুবে উদিত রবি পশ্চিমে অন্ত ধায়
রাত গড়িয়ে আবার ধরনী তার শোভা পায়।
ওগো মমতাময়ী ঠিক তেমনি আমাকে দাও বিদায়
নশ্বর জীবনের অবলীলায় না হয় আসিব আবার কোন এক ঊষার বেলায়।
দ্যাখ! শিশির ভেজা ভোরের ঐ প্রত্যেুষে
পাখিরার কিচিরমিচির শাখে শাখে ফুলেরা হাসে
যেতে দে মা আমায় ওদের পাশে।
পুবের রবির লাল টুকটুকে স্বর্ণালী আলোর রশ্মি
গঙ্গা মহড়ায় মহুয়ার তালে সুর তুলে পূর্ণ শশী।
আমায় যেতে দে মা এক চিলতে ঘুরে আসি।
অভিমানী তপ্ত দুপুর বেদনায় বিধুর প্রখর তেজে
ধূসর ধুলি চিকচিক করে হাসে
আমায় যেতে দে মা ওদের পাশে তৃনের বুক
শোকে মা মরুর মাসে।
কান পেতে শুনেছি মা নিভৃতে
স্রোতস্বিনী কাঁদে ভরা নিশীথে
পার ভাঙা উদর মা কালের নাগপাশে।
মাঠ ঘাট সোনালী প্রান্তর জুড়ে
বিষন্নতার আঁধার মা বসুমতীর তরে।
কী করে রাখিস আমায় মা তোর উদরে!
যদি কাঁদে মা মোর বসুমতী
তোর মুখেই দ্যাখিতে পাই মা ছাপা প্রীতি।
দ্যাখ! এই মাহেন্দ্রক্ষণে দিনমণি যাবে শোকে
আসছে আঁধার ঘনিয়ে রজনীর অভিমুখে।
যেতে দে মা আমায় ওদের পাশে
আঁধার শেষে না হয় আসিব কোন এক
ঊষার বেলায় তোর আরশে।
—
সিলেট, হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ