Breaking News
Home / Breaking News / নদীতে ডাকাতি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় জলদস্যুদের জব্দকৃত স্পিডবোট পুলিশের কাছে হস্তান্তর

নদীতে ডাকাতি ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় জলদস্যুদের জব্দকৃত স্পিডবোট পুলিশের কাছে হস্তান্তর

শাহরিয়ার খানঃ
চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার ৯ নং জহিরাবাদ ইউনিয়নে মেঘনা নদীতে ডাকাতির ঘটনা ও ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় জেলেদের ওপর হামলার ঘটনায় জলদস্যুদের জব্দকৃত স্পীডবোটে অবশেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী।
শনিবার সন্ধ্যায় মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা।
জলদস্যুদের স্পিডবোটটি ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় ইউনিয়নের হাজারো মহিলা পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে নাওভাঙ্গা জয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
নদীতে জেলেদের ওপর হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় জহিরাবাদ ইউনিয়নের প্রতিবাদী জনগণ নদীতে গিয়ে ডাকাতদলের ব্যবহৃত স্প্রীডবোড জব্দ করে নিয়ে এসে ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়। এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে ডাকাতরা জেলেদের মারধর করার ও যাত্রীবাহী ট্রলারে ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে এলাকাবাসী নদীতে গিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। অবশেষে ডাকাতরা একটি স্পিডবোট রেখে পালিয়ে যায় সেই স্পিড বোর্ডটি উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া নদীতে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার কারণে শত শত একর সম্পত্তি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা জনগণের পক্ষ হয়ে প্রতিবাদ করায় তার বিরুদ্ধে ডাকাতদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অবশেষে ভূমিদস্যু অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারী মতিন কাজী ও তার ভাই মিজান কাজিসহ কয়েকজন জহিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। অবশেষে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা সহ ১২ জনকে আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই ও অবৈধ বালু উত্তোলন সহ নদীতে ডাকাতি রাহাজানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি।
অবশেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্পিডবোটটি স্থানীয় কয়েকজনের সাক্ষী নিয়ে পুলিশের জিম্মায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, স্পিডবোটি স্থানীয়দের সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যারা মামলাটি দায়ের করেছে সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে নদীতে বালু কাটা অবৈধ যারা অবৈধভাবে বালু কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া স্পিড বোর্ডের কাগজপত্র রয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

Powered by themekiller.com