Breaking News
Home / Breaking News / কচুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণ কাজে সমস্যার খবর পেয়ে প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করলেন ইউএনও

কচুয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মাণ কাজে সমস্যার খবর পেয়ে প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করলেন ইউএনও

মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে অসহায়দের মাঝে দেয়া ঘর নির্মাণ কাজে সমস্যার খবর পেয়ে প্রসংশনীয় ভূমিকা পালন করলেন, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সু-যোগ্য নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপায়ন দাস শুভ। প্রকাশ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের” যার ভূমি আছে ঘর নেই” তার নিজ ভূমিতে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ৪৮টি অসহায় পরিবারের জন্য আধাপাকা ঘর উত্তোলনের বরাদ্দ হয় । প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে। এসব ঘর নির্মাণে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে গেলে উপহার পাওয়ার মধ্যে কড়ইয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের নলুয়া গ্রামের আশারবাগো বাড়ির দুলাল মিয়ার ছেলে সোহাগ হোসেন, সুত্রধর বাড়ির মৃত কামাল সুত্রধরের ছেলে সূনীল সুত্রধর ও একই বাড়ির স্বামী মৃত দিলীপ সুত্রধরের স্ত্রী রিনা রানী সুত্রধর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় দেড়মাস হয় আধাপাকা ইটের পিলার ও গাতনির কাজ শেষে নির্মাণ কাজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নবির হোসেন নামে এক ব্যক্তি আমাদেরকে জানান, ১০ হাজার টাকা দিলে ঘরের চাউনির টিন লাগানো হবে। আমরা অসহায় মানুষ টাকা দিতে না পারায় এখনও ঘরের টিন লাগাচ্ছেনা। ঘর নির্মাণ কাজে তারা আরো বিভিন্ন দুঃখ জনক অভিযোগ তুলেন। বিষয়টি এ প্রতিনিধি গত (২৭ জুলাই) বুধবার কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে,তিনি প্রসংশনীয় ভূমিকা পালনের মধ্যে পরেরদিন (২৮ জুলাই) মঙ্গলবার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশিকুর রহমানকে সরজমিনে পাঠালে ভুক্তভোগীরা কর্মকর্তাকে ওই সকল অভিযোগ জানান এবং এ দিনই মিস্ত্রি এনে ঘরের চাউনির কাঠ-টিন লাগানোর ব্যবস্থা গ্রহন করে।এসময় এ প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন। টাকা চাওয়ার বিষয়ে এ কর্মকর্তা জানান, নবির হোসেন একজন মিস্ত্রি তাকে দিয়ে মালামাল পাঠিয়ে কাজ করাচ্ছি, সে কোনো টাকা চাইলে না দেয়ার জন্য ভুক্তভোগীদেরকে বলে দেন এবং নবির হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে সে টাকা চায়নি বলে অস্বীকার করে। এছাড়াও ঘর বুঝিয়ে দেয়ার পূর্বে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের সমস্যার সমাধান করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার তাদের হাতে তুলে দেবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় ওই কর্মকর্তা।
এদিকে শুক্রবার (৩০ জুলাই) ওই ৩ টি ঘরের চাউনির কাঠ ও টিন লাগানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে দুঃখ জনক হলেও সত্য সূনীল সুত্রধর ঘরের কাঠ ও টিন আটকানোর সময় বারান্দার একটি ইটের পিলার ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রতিশ্রুতির অন্যান্য ত্রুটিপূর্ণ কাজের সময় এ পিলারটি পালটানোর জন্য দাবী করেছে সূনীল সুত্রধর পরিবারের সদস্যরা।

Powered by themekiller.com