শাহরিয়ার কৌশিকঃ
চাঁদপুর হরিনা লক্ষ্মীপুর সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পুরো রাস্তায় গর্ত হাওয়ায় বড় বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে অসংখ্য গর্ত হয়ে সেখানে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এতে করে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
চান্দ্রা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী অনুরোধে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে তাৎক্ষণিক সেই জায়গায় বিকল্প ভাবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করিয়ে দেয়।
জলাবদ্ধতার জায়গা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে চালক ও যাত্রীরা রক্ষা পায়।
গেল দুই বছর পূর্বে চাঁদপুর হরিনা ভাটিয়ালপুরের সড়ক ও জনপথের রাস্তাটি দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে খুব অল্প সময়ে পুরো রাস্তা আবার পূর্বের মত ক্ষতবিক্ষত হয়েছে হলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
চাঁদপুর হরিনা লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের প্রতিদিনই হাজারো যানবাহন চলাচল করে বিশেষ করে দক্ষিণ অঞ্চলের যাত্রীবাহী বাস মালবাহী ট্রাক ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটির বেহাল দশা হওয়ায় প্রতিদিনই ঘটছে অনেক দুর্ঘটনা। এই রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকটি গাড়ি পড়ে যাওয়ার উদ্ধারকারী রেকার এনে সেগুলো উদ্ধার করা হয়।
সড়ক ও জনপদের কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি মেরামত না করার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। চান্দ্রা চৌরাস্তা এই সড়কে বৃষ্টির পানি জমে থেকে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী নিজের অর্থায়নে ইটভাটা থেকে ইট এনে সেখানে ফেলে গর্ত গুলো পূরণ করে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে আবারো সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে সড়ক ও জনপদের রাস্তাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ১৫০ ফুড প্লাস্টিকের পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পথচারী ও গাড়ির চালকরা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দুই বছরের মধ্যে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। স্বল্প বৃষ্টির পানিতে সড়ক ও জনপথের রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অবশেষে নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা হওয়ায় এলাকার মানুষ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেয়েছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ জানান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু পাটোয়ারী ফোন করে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি অবহিত করলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য চেয়ারম্যান কে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক সড়ক ও জনপদের রাস্তায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য তড়িতগতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার রাস্তার পাশে একটি সরকারি খাল রয়েছে সেখানে মানুষ দখল করে দোকান পাট নির্মাণ করার কারণে পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে সরকারি ভূমি কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করিয়ে সরকারি জায়গা পুনরুদ্ধার করে সেখানে ড্রেনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন দেব। মানুষের কষ্ট নিরসন করার লক্ষ্যে সেখানে পাইপ বসিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে।