ইমরান নাজির: মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রার অফিসটি এখন দুনীর্তির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে চলছে অফিসের কার্যক্রম। এ অফিসে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা ভুক্তভোগী জমির ক্রয়—বিক্রয়দাতারা হচ্ছেন প্রতিনিয়ত হয়রানি।
অফিস সহায়ক ও নৈশ প্রহরীর রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহারের দাপট। অফিস সহায়ক ইব্রাহিম এ অফিসে দু’বছর ধরে কর্মরত আছেন। নৈশ প্রহরী ও ঝাড়–দার হিসাবে মো: মুজিবুর রহমান রয়েছেন প্রায় এক যুগ ধরে। সাব রেজিষ্ট্রার দলিল পত্র সই করার পর অফিস সহায়ক ইব্রাহিম দলিল জমা দেওয়ার পূর্বে টিপসইয়ের জন্য প্রত্যেক গ্রাহকদের কাছ থেকে ২ শ টাকা করে হাতিয়ে নেন। সাব রেজিষ্ট্রার চাঁদপুরে অতিরিক্ত কাজে যোগদান করেছেন তাই আগামী সপ্তাহ থেকে সপ্তাহে দু’দিন এ অফিসে কাজ করবেন। প্রতিদিন অন্তত ৩০/৪০টি দলিল রেজিষ্ট্রির কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে এ অফিসে। অফিস সহায়ক ইব্রাহিম ২শ টাকা করে প্রায় ৬—৮ হাজার টাকা এখান থেকে প্রতি সপ্তাহে আয় করেন। এ টাকা মুজিবসহ বেশ কয়েকজন ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। এ অফিসে ইউনিয়ন পর্যায়ে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা শতকরা ৮ টাকা হারে রেজিষ্ট্রি খরচ নেয়া হয়। সরকারি ম্যানুয়েলে সাড়ে ৬%হারে নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছেন না দলিল লেখকরা। গত ১৪জুন এ অফিসে গেলে বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। এ দিন দলিল লেখক জসিম ও মাওলানা ফারুকুল ইসলাম তার কাছে আসা জমি ক্রয়কারীর কাছ থেকে শতকরা ৮টাকা হারে টাকা নিয়েছেন। তারা এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকারও করেছেন। আরো জানা যায়, সাব রেজিষ্ট্রার সরকারি অফিস কক্ষে বসে দলিল না করে নিজস্ব কামরায় বসে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে দেখা গেছে।
অফিস সহায়ক ইব্রাহিম বলেন, অফিসে এখন আগের মত দলিল পত্র রেজিষ্ট্রি হয় না। উপঢৌকন অনেকে দেন আবার অনেকে দেন না।
এ ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার আহসানুল হাবীব বলেন, আমরা সাড়ে ৬% হারে ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দিচ্ছি আর দলিল লেখকরা কি নিচ্ছে তা আমি জানি না। অফিস সহায়ক ইব্রাহিমের ব্যাপারে জিজ্ঞাসে করলে তিনি বলেন আপনারা তাকেই জিজ্ঞেস করেন।