Breaking News
Home / Breaking News / সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান খার প্রতারণা ফাঁস

সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান খার প্রতারণা ফাঁস

শহর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে কমিউনিটি ক্লিনিকের সম্পত্তি ভাই দান করলেও দাতার নাম দিয়েছে মনা খা
চাঁদপুরে ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নে বহরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের অন্যের দানকৃত সম্পত্তি প্রতারণা করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান খান মনা খা জমি দাতা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বহরিয়া গ্রামের মৃত মৌলভী হাজী আমির খানের ছেলে মৃত মনসুর খান ২০০০সালে ২৪ সেপ্টেম্বর ৫ শতাংশ জায়গা কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য দান করেন।
তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মুনসুর খানের ভাই আব্দুল মন্নান খানা মনা খা।
পেশী শক্তি ব্যবহার করে ও তথ্য গোপন রেখে
বহরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সম্পত্তি দান কারী ব্যাক্তির নাম না লিখে সেখানে দাতা হিসেবে আব্দুল মন্নান খান মনা খাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী ও সবচেয়ে বড় প্রতারণার।
সম্পত্তির প্রকৃত দাতা মনসুর খান মারা যাওয়ার পর বহরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ‌ জমির দাতার নাম সাইনবোর্ডে মন্নান খান মনা খাঁর নিজের নামটি লিখেন।
প্রকৃত জমি দাতার নাম না দিয়ে প্রতারণা করে নিজের নাম দেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রকৃত জমি দাতা মরহুম মুনসুর খানের ছেলে ফারুক খান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তার বরাবর সম্পত্তি দাতার নাম পরিবর্তন করার জন্য একটি অভিযোগ প্রদান করেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর পূর্বে মনসুর খান এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে ৫ শতাংশ জায়গা কমিউনিটি ক্লিনিকের নামে দান করে দেন। কিন্তু প্রতারক মন্নান খান মনা খাঁর প্রতারণা করে নিজের নামটি সাইনবোর্ডে জমি দাতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও লক্ষীপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান খান ক্ষমতা থাকাকালীন সময় অন্যের সম্পত্তি নিজের বলে দখল করে অনেক মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এলাকার অনেক অসহায় মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বর্তমানে অনেক মামলা চলমান রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।

জমি দাতা মনসুর খানের ছেলে ফারুক খান জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ইতালি প্রবাসে থাকা অবস্থায় চাচা মন্নান খান মনা খাঁর আমাদের সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে। বহরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সম্পত্তি বাবা দান করলেও প্রতারক মনা খান তার নাম অন্তর্ভূক্ত করেছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিটি নিজেরাই গঠন করে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে। এই মুখোশধারী সাবেক চেয়ারম্যান মন্নান খান মনা খাঁর শাস্তি দাবি জানাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মন্নান খান মনা খাঁ জানান, বহুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সম্পত্তি ভাই মনসুর খান দান করেছে। কিন্তু সে সময় চেয়ারম্যান থাকার কারণে নিজের নামটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তার সাজেদা বেগম পলিন জানান, বহরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা ছেলে ফারুক খান বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করার পর নাম পরিবর্তন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Powered by themekiller.com