Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, মারধর, টাকা ছিনতাই ও অপহরণের চেষ্টার ঘটনায় চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরন দাসের ছেলে অনিমিক দাসের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মামলাটি দায়ের করা হলে অবশেষে স্কুলছাত্রীকে ২২ ধারার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়।
স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় চাঁদপুর সদর সার্কেল স্নিগ্ধা সরকারের নির্দেশে মডেল থানা পুলিশ অভিযুক্ত অনিমিক দাসকে গ্রেফতার করতে শহরের কুমিল্লা রোড শ্রাবণী ভিলা নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া অসিত বরন দাসের বাসায় অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মামলার প্রধান আসামি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রফেসর পাড়া ডাক্তার সীমা হাসানের বাসার সামনে বখাটে অনিমেক দাস স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপিরণ করে ব্যাগ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ও সাথে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। স্কুল ছাত্রীর ডাক চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে আসলে অবশেষে অপহরণকারী বখাটে যুবক অনিমিক দাস(২১) ও সহযোগী ঘোষপাড়ার তারেক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরে স্কুল ছাত্রীর মা নুরুন্নাহারকে ফোন করে বকাটে অনিমিক দাস পুনরায় হুমকি-ধমকি ও জানে মেরে ফেলার হুংকার দেয়।
এই বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা নুরুন্নাহার জানান, মেয়ে লেডি প্রতিমা স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে শহরের কুমিল্লা রোড শ্রাবণী ভিলা নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়া অসিত কুমার দাসের ছেলে অনিমিক দাস বখাটে যুবকদের সাথে নিয়ে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। সে হিন্দু ধর্মের ছেলে হয়ে মুসলিম ধর্মের মেয়ের সাথে প্রেম নিবেদন ও বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তার কথা না শুনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়ে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাওয়ার পথে রাস্তায় একা পেয়ে তাকে যৌন নিপীড়নের পর অপহরণ করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ও তার মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। এরপর বখাটে মাদকাসক্ত অনিমিক তার মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে আমাদের গুলি করে হত্যা করবে ও আমার মেয়েকে এসিড মেরে মুখ ঝলসে দিবে বলে হুমকি দেয়। আমরা পুরো পরিবার নিয়ে এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
থানায় মামলা হওয়ার পর থেকে শুরু মোবাইলে মেসেজ ও ভয়েস পাঠিয়ে আজেবাজে কথা বলে ও মা মেয়েকে হত্যার হুমকি দেয়।
মূল অপরাধী মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ও ভয়েস রেকর্ড গোয়েন্দা অনুসন্ধান করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
এই বখাটে অনিমিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাই।

Powered by themekiller.com