Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুরের যাত্রীবাহী লঞ্চের স্টাফ কেবিনে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

চাঁদপুরের যাত্রীবাহী লঞ্চের স্টাফ কেবিনে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
বেশ কয়েক বছর যাবৎ চাঁদপুরসহ ভোলা বরিশাল নৌরুটে যাত্রীবাহী নৌযান গুলোতে অহরহ যুবতীর লাশ উদ্দার অব্যাহত রয়েছে। অধিকাংশ যাত্রীবাহি লঞ্চ গুলোতে সিসি ক্যামেরা না থাকায় আষামী চিন্হিত করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে লঞ্চের ষ্টাফ কেবিন গুলোতে এ সব ঘটনা ঘটে থাকে। চাঁদপুর-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ আব-এ-জমজম লঞ্চের দ্বিতীয়তলার স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাতনামা তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে চাঁদপুর নৌ-থানা পুলিশ। মৃত ওই তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৮ বছর। লঞ্চটিকে সিসি ক্যামেরা না থাকায় সাথের যুবকটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এখনো।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আব-এ-জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারের কেবিন থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার খবর শুনে দুপুর ২টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার, চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, চাঁদপুর নৌ-থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল হক লঞ্চটি পরিদর্শন করেন।

লঞ্চের গিজার মোঃ সুজন মোল্লা, মোঃ রাসেল ও মাসুম ওই স্টাফ কেবিনটি ব্যবহার করতেন। লঞ্চটি দুপুর ১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেনি।

গিজার মোঃ সুজন মোল্লা জানান, বুধবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে লঞ্চটি। সাড়ে ৬শ’ টাকার বিনিময়ে আমি একটি যুবক ও মেয়েকে কেবিনটি ভাড়া দেই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেবিনটি পরিষ্কার করতে গেলে কক্ষটি তালাবদ্ধ পাই। পরে টিকেট কাউন্টারে গিয়ে খবর নিলে কোন চাবি দেওয়া হয়নি বলে জানতে পারি। পরে কেবিন খুললে তরুণীর লাশ আমরা দেখতে পাই।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধা সরকার জানান, তরুণীর গায়ে থাকা ফিতা দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যেহেতু এক ব্যক্তি কক্ষটি ভাড়া নিয়েছে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাটি একজনই করতে পারে। তবে ধর্ষণের পর হত্যা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

Powered by themekiller.com