নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ২ নং আশিকাটি ইউনিয়নের হাফানিয়া গ্রামে ২ সেনা কর্মকর্তার বাড়ির ৫০ বছরের পুরনো চলাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে প্রতিপক্ষরা।
প্রতি হিংসা ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার লক্ষে প্রতিপক্ষ মোঃ শাহ আলম মিজি চলাচলের রাস্তা বাঁশের খুঁটি বসিয়ে দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আশিকাটি হাঁপানিয়া গ্রামের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সামনে এম এ নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় পিছনে মিজানুর রহমান মিজির ছেলে ২ সেনা কর্মকর্তা সহ তার ৭ ছেলের বাড়ির রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।
এই ঘটনায় পুরনো রাস্তা ফিরে পাওয়ার জন্য সমাধানের লক্ষ্যে মিজানুর রহমান মিজি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ মনসুর আলী মিজির ছেলে শাহ আলম মিজি তার ভাগিনা মজিব ও মোহরি দিদার সহ বাড়ির কয়েকজন দালাল ঘটনাটি ঘোলাটে করে রাস্তা জায়গা ছাড়বে না বলে জানায়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে কর্মরত ওসি ক্রাইম নাজমুল দুই পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার সালিশী বৈঠক করলেও এর সমাধান হয়নি।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের দুই ছেলে সেনা কর্মকর্তা তাদের বাড়ির চলাচলের রাস্তা জন্য প্রতিপক্ষ শাহ আলম মিজিকে বর্তমান হার অনুযায়ী রাস্তার জায়গা ক্রয় করার জন্য টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু বাড়ির কয়েকজন দালাল দুই পক্ষের মাঝে সমস্যার সমাধান যাতে না হয় সেজন্য জটিলতা সৃষ্টি করে রাখে।
শাহআলম মিজির স্ত্রী রহিমা বেগম চাঁদপুর সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি শাখায় চাকরি করায় সেই ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীদের বিভিন্নভাবে হেও প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সেনা কর্মকর্তা মমিন মিজি জানায়, দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত নিজের পৈতৃক সম্পত্তির উপর বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছি।
কিন্তু প্রতিপক্ষ শাহ আলম মিজি রাস্তা জায়গা বেড়া দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ায় আইন মোতাবেক এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করছি।
চলাচলের রাস্তার দৈর্ঘ্য মাত্র ৬০ ফুট ৮২ পয়েন্ট জায়গা তাদের হওয়ায় কারণে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাস্তায় বেড়া দিয়ে দেয়।
জায়গা ক্রয় করার জন্য বর্তমান হার অনুযায়ী তাদের টাকা প্রস্তাব করা হলেও তারা রাজি হয়নি।
আমাদের চলাচলের রাস্তাটিতে বাঁশের বেড়া উঠিয়ে সচল করে তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সম্পত্তির মালিক মিজানুর রহমান জানান, সাত ছেলের জন্য নিজের পৈতৃক সম্পত্তির উপর ভবন নির্মাণ করেন বসবাস করে আসছি।
কিন্তু প্রতিপক্ষ শাহ আলম মিজি দুষ্টু প্রকৃতির হওয়ায় ৫০ বছরের চলাচলের রাস্তাটি বেড়া দিয়ে দেয়।
এ বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সূরহা হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলম মিজিকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা রহিমা বেগম জানান, আমাদের নিজেদের জায়গা নিজেরা বেড়া দিয়েছি। তাদেরকে কোন অবস্থাতেই জায়গা দেবোনা। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি।