Breaking News
Home / Breaking News / রাজরাজেশ্বরে ২কোটি টাকা ব্যায়ে সাইক্লোন সেন্টার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্বেই লুটপাট

রাজরাজেশ্বরে ২কোটি টাকা ব্যায়ে সাইক্লোন সেন্টার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্বেই লুটপাট

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বরে নব-নির্মিত তৃতল ভবন বিশিষ্ট স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। মাত্র এক মাস আগে দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পূর্বেই সাইক্লোন সেন্টারের জালনা দরজা ও অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে নেওয়ার সময় গ্রামবাসী ঘেরাও করে ১৫ জনকে আটক করেছে। শনিবার বিকেলে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনেসপেক্টর আব্দুর রব ও চাঁদপুরের কয়েকজন সংবাদকর্মী নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়া সাইক্লোন সেন্টার দেখার জন্য ঘটনাস্থলে যায়।
ঠিক সে সময় সেখানে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ঠিকাদার পারভেজ রনির ছোট ভাই সেলিম বহিরাগত ১৫/২০ জন লোক নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
পদ্মা-মেঘনার প্রচন্ড জোয়ারে পানির ঘূর্ণিপাকে লক্ষীরচর এলাকার ভাঙতে শুরু করলে ঠিক সে সময় শরীয়তপুর জেলার কাচিকাটা এলাকা থেকে বহিরাগত ১৫/২০ জন লোক এনে সাইক্লোন সেন্টারের দরজা-জানলা সহ অন্যান্য মালামাল লোড করার চেষ্টা করেন।
এ সময় লক্ষীরচর এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসী তাদেরকে ঘেরাও করে ১৫ জনকে ধরে আটক করে।
পরে স্থানীয় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ অফিসারকে খবর দেয়।
এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানান, সাইক্লোন সেন্টারটিভেঙে যাওয়ার পূর্বেই বহিরাগত ১৫/২০ জন লোক এসে দরজা জানালা অন্যান্য মালামাল লুট করার চেষ্টা করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে ধরে লক্ষীচর বাজারে এনে আটকে রাখে।
এ খবর চাঁদপুর সদর সার্কেল, মডেল থানা ওসি সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুর রবকে জানানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর আবদুর রবের মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে ইউনিয়নের প্রায় ২শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ক্ষদিগ্রস্তরা ভিটেমাটি রক্ষায় স্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যায়ে তৃতলা ভবন বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টার নিমান করা হয়। ভবনের সাইড সিলেকশনের সময় নদী এখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ছিল। নদী ভেঙ্গে খুব কাছে আসার পর গত বছর কাজটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু অদৃশ্য শক্তির বলে ঠিকাদার মেম্বার পারভেজ রনি স্থানীয় পিআইও ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে পুনরায় কাজটি করার জন্য অনুমোদন নিয়ে আসে।
ভবনটি তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করে এক মাস পূর্বে হস্তান্তর করে পুরো টাকা নিয়ে নেও ঠিকাদার।
সরকারের এত কোটি টাকা অযথা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের দোষারোপ করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

Powered by themekiller.com