Breaking News
Home / Breaking News / সাদা পোশাকে পুলিশি অভিযানের নামে মা-বোনের সাথে ধস্তাধস্তি! স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

সাদা পোশাকে পুলিশি অভিযানের নামে মা-বোনের সাথে ধস্তাধস্তি! স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে সাদা পোষাকে অভিযানে যাওয়া একদল পুলিশের হাতে মা-বোনের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমন তথ্য জানার পর দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে রাতেই মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে। ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সময়ে ডবলমুরিং থানার বাদামতলী বড় মসজিদ গলিতে এসব ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্রের নাম সালমান ইসলাম মারুফ।
সালমানের স্বজন দাবি করে আবু তাহের এবং স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, কিছুদিন আগে সালমানের বাইসাইকেল ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তাদের বাসায় উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। এই সময় সালমান চোর চোর চিৎকার দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ধরে এবং আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর করে। সেখানে সাদা পোশাকে উপস্থিত হন ডবলমুরিং থানার উপপরিদর্শক হেলাল উদ্দিন। সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি নিজকে পুলিশ এবং উকিঝুঁকি দেওয়া ব্যক্তিকে সোর্স দাবি করেন। এই নিয়ে সালমানে মা-বোনসহ স্বজদের সঙ্গে পুলিশের বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এই ফাঁকে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে সালমান।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরই পুলিশের সঙ্গে সালমানের মা-বোনের বিতন্ডার জেরে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তার মা বোন আহত হয়। তার বোন অজ্ঞান হয়ে পরলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে বোন অজ্ঞান হওয়া এবং মা-বোনকে পুলিশ বাসা থেকে নিয়ে গেছে এমন তথ্য জানার রাতে পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে সালমান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
স্কুলছাত্র সালমানের বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার তথ্য জানাতে পারেনি ডবলমুরিং থানা পুলিশ। আর ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত উপপরিদর্শককে ক্লোজড করা হয়। কিন্তু ঘটনার পর বিষয়ে জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক বলেন, এসআই হেলাল ওই বাসায় অভিযানে গিয়েছিল। সেখানে উত্তোজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ সালমানকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে তার মা-বোন বাধা দিয়ে সালমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময় দুপক্ষের মধ্যে টানাহেচড়ার সময় বোন মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাই পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মাকেও সঙ্গে যেতে বলে পুলিশ। আর সালমান হয়তো মা-বোনকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ-এমনটা মনে করেছিল। তবে প্রকৃত ঘটনা কি হয়েছিল তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

Powered by themekiller.com