মাদ্রাসা ছাত্রের কান্ড! চাঁদপুরে ৫ বছরের শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুরে মাদ্রাসার ছাত্র জোরপূর্বক ৫ বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের স্বজনরা চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদপুর জেলাধীন ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সিরহাট শাচনমেঘ মিজি বাড়ির পাশের গভীর জঙ্গলে এই ঘটনাটি ঘটে।
শিশুটির মা জেসমিন আক্তার বৃহস্পতিবার রাতে নবজাতক শিশুর জন্ম দেওয়ায় সেই সুযোগে শিশুটিকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র সজীব তাকে যৌন নিপীড়ন করেছে বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা।
যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়া শিশুটির ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের খারখাদিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে।
শিশুর মা জেসমিন বেগম নবজাতকের জন্ম দেওয়ায় অসুস্থ হওয়ার কারণে তার মামি শিশুটিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়।

শিশুটির পরিবার অভিযোগ করে বলেন, টোরা মুন্সিরহাট এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে চাঁদপুর স্বর্ণখোলা মাদ্রাসার ছাত্র সজীব(১৫) সাইকেল নিয়ে সন্ধ্যার পর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটিকে দেখতে পেয়ে সাইকেলের পিছনে উঠিয়ে পাশে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে।
শিশুটি ডাক চিৎকার দিলে তাকে লম্পট সজীব রাস্তায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে শিশুটি তার নানার বাড়িতে আসলে ব্যাপক রক্তক্ষরণ দেখতে পেয়ে তার স্বজনরা তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে লম্পট মাদ্রাসার ছাত্র সজীব এর বাবা মোশাররফ হাসপাতালে এসে শিশুর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে এবং ঘটনাটি যেন বাড়াবাড়ি না করে সেজন্য ভয়-ভীতি দেখায়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ছাত্র সজীবের বাবা মোশাররফের মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলে সজীব সাইকেল নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি সাইকেলের পিছনে উঠলে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়।এই কারণে তার রক্তক্ষরণ হয়েছে, যৌন নিপীড়ন তাকে করা হয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়, শিশুটির যৌনাঙ্গ দিয়ে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটিকে যৌন নিপীরন করার কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে চাঁদপুরে যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। গত একমাসে চাঁদপুর সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় বেশকিছু যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।
৫ বছরের শিশু যৌন নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার ছাত্র সজীব এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তার পরিবারের স্বজনরা।