অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমার সেনাবাহিনী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ওপরে গণহত্যা, গণধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী নানা অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের প্রায় এক হাজারেরও বেশি নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার নানা তথ্য উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে। রাখাইন পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ওদিকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরো ১৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর মধ্যে ১৫৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য; জানিয়েছেন, জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে গত বছরের অগাস্ট থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়, যাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যদিও তা প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সরকার।
এরপর গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে আইসিসি।
নেদারল্যান্ডসের হেগে গঠিত ওই আদালতের এক আইনজীবী এক বিবৃতিতে বলেন, লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে যেভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বিতাড়িত করা হয়েছে, তাতে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত হাতে নিয়েছেন আদালত।
জাতিসংঘের আবেদন আমলে নিয়ে ৬ সেপ্টেম্বর আইসিসি মিয়ানমারের বিচার করার পক্ষে মতামত দিয়ে এক বিবৃতি দিলে সেটিও ‘দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান’ করে মিয়ান সরকার বলেছিল, এ ইস্যুতে আইসিসির হস্তক্ষেপ করার কোনো এখতিয়ার নেই।