ষ্টাফ রির্পোটারঃ আর মাত্র কয়েক মাস বাকি চাঁদপির পৌরসভার নির্বাচন। এরই মধ্যে আওয়ামীলীগসহ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা তাদের দীর্ঘ দিনের সফলতা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য তথ্য প্রকাশ করা শুরু করেছে, মুলতঃ নির্বাচন এলেই ভোটারদের দৌড় গোড়ায় প্রার্থীদের আনাগোনা সব চেয়ে বেশি। উন্ননয়ের জোয়ার বইতে থাকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়, অনলাইনসহ সাধারন ভোটারদের মুখে। তবে হবে চাঁদপুর পৌর পিতা তা নিয়ে সাধারন ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সজ্ঞা থাকলেও পিছিয়ে নেই কোনো প্রার্থীরা, দলীয়ভাবে প্রার্থী নির্বাচনে উধ্বর্তন মহলে রয়েছে দৌড় ঝাপ। প্রকাশ করা হচ্ছে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা। সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আবারও নির্বাচনে অংশ নেবেন চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দীন আহমেদ। চাঁদপুর পৌরসভার ১১৩ বছরের ইতিহাসে জনগণের ভোটে এখন পর্যন্ত মোট ৩ বার মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সততা, ন্যায়পরায়নতা, উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজের মাধ্যমে নিজ এলাকাসহ জেলার সর্বসাধারণের নিকট ইতোমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন নাছির উদ্দীন।
সাধারণত মেয়রদের বিরুদ্ধে পৌরবাসীর অভিযোগের অন্ত থাকে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম মেয়র নাছির উদ্দীন। সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন তিনি। এছাড়া সমাজের সাধারণ মানুষ খুব সহজেই তার কাছে পৌঁছে নিজেদের সুবিধা অসুবিধার কথা বলতে পারেন।
পৌর মেয়রের পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলীয় ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তার নিকট এসে কখনও আশাহত হন না। তিনি একজন কর্মীবান্ধব দেশপ্রেমিক ও দলকে তার জীবনের চেয়েও থেকে বেশি ভালবাসেন। নাসির উদ্দিনের কাছে অন্যায়ের কোনো প্রশ্রয় নেই।
চাঁদপুর পৌরসভার জনগণ জানান, অনেক রাজনীতিবিদ নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। কিন্তু নির্বাচনের পর তাদের আর কোনো খবর মেলে না। কিন্তু মেয়র নাছির উদ্দীন নির্বাচনের পূর্বে দেওয়া তার সকল প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।
এছাড়া নাসির উদ্দিনের ছোঁয়ায় এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ঠিকঠাক মতো হচ্ছে কিনা সেগুলো নিজেই তদারকি করেন তিনি।
আসন্ন পৌর নির্বাচনেও জয় লাভ করে মেয়র নাছির উদ্দিন জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন এলাকায় সাধারণ মানুষ।
আসন্ন পৌর নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাকে পর পর দুইবার তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। তাদের ভোটে আমি প্রথমে চেয়ারম্যান এবং পরে মেয়র নির্বাচিত হয়েছি। দলের মনোনয়ন বোর্ড জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি আমাকে চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে পুনরায় মনোনয়ন দেন তাহলে জনগণের কল্যাণে পূর্বের ন্যায় চাঁদপুরবাসীর জন্য সৎভাবে কাজ করে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় চাঁদপুর পৌরসভা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি সৎ সাহস নিয়ে বলতে পারি আমি চাঁদপুর পৌরবাসীর আমানতের খেয়ানত করিনি।’
উল্লেখ্য, আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগে নব্বই দিনের মধ্যে অথবা নব্বই দিন পূর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসাবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি বা মার্চে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।