বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে কৌশলে চাঁদপুরের লঞ্চের কেবিনে তুলে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ফতুল্লা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। বরগুনার বেতাগীতে এক কিশোরী এবং ঝালকাঠির রাজাপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রাজাপুরের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
নারায়ণগঞ্জ : বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে লঞ্চের কেবিনে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে কথিত প্রেমিক সালাউদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। সালাউদ্দিনকে গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতেই পুলিশ সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। সালাউদ্দিন চাঁদপুর পৌর এলাকার উত্তর জিটি রোডের সিদ্দিক আলীর ছেলে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, ফতুল্লার এনায়েতনগর এলাকার একটি হোসিয়ারিতে কাজ করত ওই কিশোরী। সেখানেই সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তিন বছর ধরে তাঁদের প্রেম চলে। এর মধ্যে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ের কথাও হয়। গত ১১ জানুয়ারি সকালে ফতুল্লার পঞ্চবটি বাসস্ট্যান্ডে তাকে তাঁর প্রেমিক আসতে বলেন। এরপর সেখান থেকে কৌশলে তাকে ঢাকার সদরঘাট এলাকায় নিয়ে একটি লঞ্চে উঠতে বলেন। কিশোরী লঞ্চে উঠতে গড়িমসি করলে সালাউদ্দিন আশ্বাস দেন গ্রামের বাড়িতে নিয়ে তাঁকে বিয়ে করবেন। এরপর চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন সালাউদ্দিন। পরবর্তী সময়ে চাঁদপুর থেকে ফিরে আসার পথেও সালাউদ্দিন তাকে ফের যৌন নির্যাতন করেন।
বেতাগী (বরগুনা) : বেতাগীতে ওরস মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের জলিসা বাজারসংলগ্ন মীরা বাড়িতে গত মঙ্গলবার রাতে ওরসের আয়োজন ছিল। মাহফিলে ওই কিশোরীটি যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরীর সঙ্গে কথা আছে বলে একই এলাকার বারেক হাওলাদারের ছেলে নাইম হোসেন (১৮) কৌশলে ডেকে নিয়ে যান। এ সময় একই এলাকার অন্য দুই বন্ধু মোতালেব হাওলাদারের ছেলে সাগর হাওলাদার (১৭) ও নুরুল হকের ছেলে নাইম (১৯) একজোট হয়ে কিশোরীকে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন।