Breaking News
Home / Breaking News / চাঁদপুর পৌরসভার ৬নংওয়ার্ডে নারীর ঝুলন্ত লাশ

চাঁদপুর পৌরসভার ৬নংওয়ার্ডে নারীর ঝুলন্ত লাশ

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের একটি বাসা থেকে তাছলিমা আক্তার (২৮) নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিলেন।

বাসাটি জাবেদ আহমেদ নামে একজন ব্যবসায়ীর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই পলাশ বড়ুয়া জানান, এটি আত্মহত্যা না পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা এখনি বলা সম্ভব নয়।কেননা মৃত নারীর পা খাটের ওপর বেঁকে ছিলো।যেখানে সে খাটে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো বোঝা যাচ্ছে।তাছাড়া ওই নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছিল। সেটি কি সে নিজে পাখায় পেঁচিয়েছে কিনা তা অনেকটা সন্দেহজনক। উদ্ধারকৃত লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বাংলারমুখ নিউজ কে বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে ওই আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলায়। আমরা এখন পর্যন্ত লাশের সাথে থাকা বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। তাছাড়া মৃত তাছলিমা আক্তারের মোবাইল, এনআইডি কার্ড (১০-১২-১৯৯২) সহ বেশকিছু আলামত তদন্তের স্বার্থে হেফাজতে নিয়েছি।’

লাশ উদ্ধারকালে জাবেদ আহমেদ বাসায় ছিলেন না। ব্যাক্তিগত কাজে চাঁদপুরের বাইরে রয়েছেন বলে জানান তার আত্মীয় মিশু।

মিশু জানান,মৃত তাছলিমা স্বামী পরিত্যাক্তা। তার স্বামী ছিলেন মতলব দক্ষিণ নায়ের গাঁও এলাকার বাসিন্দা নাছির। তাছলিমার পৈত্রিক বাড়ি ঝালকাঠী। তিনি প্রায় ১১ বছর পূর্বে এ বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক প্রায়ই তিনি মানসিক রোগীর মতো আচরণ করতেন। এ জন্য তাকে ডাক্তারি চিকিৎসার আওতায় পর্যন্ত রাখা হচ্ছিল।
এদিকে মিশুর এক চাচাতো ভাই তৌফিক বলেন, ‘হঠাৎ এই খবর শুনে এসে দরজা লাথি মেরে খুলি। আর দরজা খুলে দেখি তাছলিমার ঝুলন্ত লাশ। এখন পুলিশ আমার মোবাইলটি পর্যন্ত হেফাজতে নিয়েছে।’
এদিকে ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করছি।এখনি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
এ সময় সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিনও ছিলেন।

Powered by themekiller.com