ষ্টাফ রির্পোটারঃ চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন,ঈদমুখো মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।যেজন্য লঞ্চ টার্মিনালে আমাদের সাদা পোশাক ও পুলিশি পোশাকে পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে।সেই তৎপরতায় আমরা আমরা গতকাল শুক্রবার রাতে ৬ ছিনতাইকারীকে আটক করেছি।আটককৃতরা হলো কাওসার মোল্লা (২০),সোহেল রানা (১৮), নোমান (১৮),কুদ্দুস (১৮),ফারুক হোসেন প্রধানিয়া (২৬) এবং মোস্তফা হাওলাদার(৩৫)।আটককৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় ছিনতাই মামলা দায়ের করা হয়েছে।১ জুন শনিবার প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।আটক ছিনতাইকারীদের ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন,চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে স্বর্ণদ্বীপ ৭ যাত্রীবাহী লঞ্চের ছাদে হৃদয় নামে এক যুবককে একা পেয়ে আটক এই ছিনতাইকারী চক্র হাত-পা বেঁধে মারধর করে। তারা হৃদয়ের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই করে। এই সময় হৃদয়ের ডাক চিৎকারে নিচ থেকে আসা যাত্রীরা উপরে উঠে ছিনতাইকারীদের ধরে পুলিশকে খবর দেয়।সে সময়ে লঞ্চঘাটে অবস্থান করা চাঁদপুর মডেল থানার এস আই রেজাউল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ছিনতাইকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।তিনি আরো বলেন, আসন্ন ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছে। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। সেজন্য লঞ্চ টার্মিনাল সহ সারা শহরের নিরাপত্তায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন,আমাদের দিনে ৬ টা এবং ৭ টা ট্রহল টিম সার্বক্ষনিক মানুষের নিরাপত্তা প্রদানে মনিটরিং করছে।এছাড়াও ঈদের বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সার্বিক নিরাপত্তায় শহরের হকার্স মার্কেট,হাকিম প্লাজা,ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স,মীর শপিং,বাবুরহাট এলাকার বড় বড় শপিং কমপ্লেক্সগুলোর সামনেও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।এ ছাড়াও শহরের পর্যটন কেন্দ্র যেমন বড় স্টেশন মোলহেড,ক্লাব রোড এলাকার মতো জায়গায়ও আমাদের সার্বক্ষণিক ট্রহল পার্টি অবস্থান করছে।পাশাপাশি আমাদের মাদক বিরোধী অভিযানেও পুলিশ তৎপর রয়েছে।এই প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশের অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।