নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননী এক গহবধূকে (২৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছেন ওই গ্রামের মোস্তফার ছেলে সাইফুল ও রুদ্রপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে বাবু।
গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ দোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়ি ঘেরাও করে তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে একটি এলজি ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে গ্রেপ্তারকৃত দুজনসহ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই নারীকে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত হারুন, সাইফুল ও বাবুর সঙ্গে ওই গৃহবধূর স্বামীর বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারধর করে। পরে অভিযুক্তরা তাকে (গৃহবধূকে) একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০/৭০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, মামলার পর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বাবু এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও সন্ত্রাসি কর্মকাণ্ডসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
ওসি আরো জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, হারুন, সাইফুল ও বাবু কক্ষে ঢুকে আমার কাছ থেকে দুই শিশু সন্তানকে খাট থেকে নিচে ছুড়ে মারে এবং আমার শ্লীলতাহানি করে। তাদের পা ধরে ইজ্জত ভিক্ষা চাইলে তারা দুই সন্তানকে গুলি করে হত্যার ভয় দেখায়। যাওয়ার সময় তারা আমার গায়ে থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও আট আনি ওজনের এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম বলেন, ‘একজন গাইনী চিকিৎসকের অধীনে গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে। শনিবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।’