মফিজুল ইসলাম বাবুল,কচুয়াঃ
রহিমানগর ভাতেশ^র রাস্তাটি চাঁদপুরের কচুয়া ও কুমিল্লার বরুড়া এ দুটি উপজেলার সংযোগকারী রাস্তা হিসেবে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে এ রাস্তা ধরে। কচুয়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল ও বরুড়া উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের বাজার সমুহে কৃষকরা তাদের ধান-চাউল ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ পন্য সামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। আর এসব পন্য সামগ্রী বাজারে আনা নেয়ার উক্ত রাস্তাটিকেই প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন এ রাস্তাটি ভাংচুর হওয়ায় তথা ভগ্নধসা চরমে পৌছলে রাস্তাটি মেরামতে প্রায় কোটি টাকা অর্থ বরাদ্ধ করা হয় এবং যথারীতি টেন্ডার প্রকিয়া সম্পন্ন করে ঠিকাদারকে ওয়ার্ক আর্ডার দেওয়া হয়। স্থানীয় অধিবাসী দিদার হোসেন নামে এক ঠিকাদার ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে কয়েক মাস গড়িমসি রাস্তার কাজ শুরু করে ও রমজানের পক্ষকাল পূর্বে রাস্তার পূর্ব প্রান্ত ভাতেশ^র যুগীরপুল থেকে ১২শ মিটার কাজ করে উক্ত অংশের বিল সাবমিট করে বিল উত্তোলন করে নেয়। এ ১২ শ মিটার কাজ সম্পনের পর ঠিকাদার আর এ রাস্তার মেরামত কাজের নাম নিচ্ছে না। রাস্তাটির গর্তময় অংশ দিয়ে যানবাহর চলাচল করছে সম্পূর্ণ দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেয়। একটু খানি বৃষ্টি হলে রাস্তার গর্তে পানি জমে পুকুরসম অবস্থা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে সাতবাড়িয়া গ্রামের পূর্ব প্রান্ত থেকে রহিমানগর বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির খুবই বেহাল দশা। সাতবাড়িয়া সড়কে জনতা ব্যাংকের সম্মুখে প্রায় ১০০ মিটার রাস্তা পুকুরসম বড় বড় গর্ত। এই গর্তগুলো পরাপারে প্রায় প্রতিদিনই যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে যাত্রীরা আহত হওয়া ছাড়াও বিনষ্ট হচ্ছে যানবাহন। অবস্থার দৃষ্টে মনে হয় ভগ্নরাস্তায় চলাচলে এ চরম দুঃখ কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই। রাস্তায় যে ১২শ মিটার অংশের কাজ হয়েছে এ কাজ নি¤œমানের বলেও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। মেরামত করা অংশে ফিনিশিং কাজ ঠিকমত না করায় এখনই স্থানে স্থানে পানি জমছে। পানি জমা হওয়া স্থানগুলো অতিশীগ্রই বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ঠিকাদার দিদার হোসেনের সাথে কয়েকদফা তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে রাস্তা মেরামতে গড়িমসি সম্পর্কে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন বলেন, ঠিকাদার ১২শ মিটার রাস্তার মেরামত কাজ করেছে। উক্ত অংশের বিল পরিশোধ করা হয়েছে বাকী কাজ শিগগিরই শেষ করার জন্য তাকে বলা হয়েছে।