চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দুর্নীতি, গ্রাহকরা অতিষ্ঠ

ষ্টাফ রির্পোটারঃ
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ,বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রশ্নবিদ্ধ!
সংসদ সদস্য মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় হাজারো গ্রাহক, ইদানিং গ্রামের মানুষের কষ্টের পর এবার শহরবাসীর ধারনা হয়েছে বিদ্যুৎ না থাকার কষ্ট যে কত কঠিন ।
হাজীগঞ্জ – শাহরাস্তি’র গ্রাহক কিছুদিন বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুব খুশি হয়ে অনেক জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উন্নয়ন অগ্রগতির সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।
চাঁদপুর -৫ হাজীগঞ্জ -শাহরাস্তি আসনের সংসদ সদস্য মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দেখে মানুষ দলমত নির্বিশেষে সবাই এম.পি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে ।
ডাকাতিয়া নদীর উপর 8 স্টার সেতুর বাস্তবায়নে সফল হয়ে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি বাসীর জীবন মানবির্নিমাণে আজীবনের স্বপ্ন পূরণ করেছে তাদের অভিভাবক ।
কিন্তু অনেক জনসাধারণের মনে একটা বিষয়ে প্রশ্ন জাগে ” আমাদের এমপি স্যার কি কখনো কিছু বলেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি.এম কে ?
এমপি স্যারের দৃষ্টি থাকলে তো আমরা এই প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ এত ‘বেলকীবাজি ‘ দেখতে হতো না ।
হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি’র পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক অনেক ধৈর্য্যশীল ,গত রবিবার সংসদ সদস্য মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্যারের সফরসঙ্গী হিসেবে কাঁকেরতলা জনতা কলেজের অনুষ্ঠান শেষে এমপি স্যার , এবং সফরসঙ্গীদের দুপুরের খাবার অনুষ্ঠানে উপস্থিতিতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে অনেকেই!

খাবার টেবিলে এমপি স্যার, আর বিদ্যুৎ অফিসের স্যার বসে “বেলকীবাজি ” দেখালো স্যারের নেতৃবৃন্দদের । প্রচন্ড গরমে সেই সকাল থেকে একের পর এক প্রোগ্রাম করে যাচ্ছেন আমার দেখায় দেশের একমাত্র এমপি মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ।
ভরদুপুরে ক্লান্ত শরীরে স্যার কতটুকু কষ্ট পেয়েছে নিজের চোখে দেখে বুঝতে পারলাম ।
বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার পিছনে কোন কলকাঠি নাড়াচাড়া হয়েছে অনেকের ধারণা । তবে আমি মনে করি আমরা সেই অভিভাবকের জনগণ । যিনি জীবনে কোনদিন ” ক্লীন ইমেজের ” গায়ে কোন বিরুপ শব্দ লাগতে দেয়নি ।

অথচ ইতিপূর্বে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলার গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরের অলি গলিতে মানুষের মুখে শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহের ছয় নয় শোনা যাচ্ছে ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছু অসাধু কর্তাব্যক্তির মুখে সরকার বিরোধী তথ্য প্রকাশের কারনে জনগন মানতে নারাজ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে । চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি.এম সহ কর্মকর্তাদের লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলেই তাদের অজুহাত শুরু হয়ে যায়, জাতীয় গ্রিডে সমস্যা, গোড়া থেকেই বন্ধ ।কখন লাইন কখন পাবো জানতে চাইলেই বলতে পারবো না বলে লাইন কেটে দেয় । চারদিকে যেভাবে জনসাধারণ ক্ষেপে উঠেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি.এম কে অপসারণের দাবি যে
কখন উঠে যায় বলা মুশকিল ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অসাধু ব্যক্তির বিদ্যুৎ সরবরাহে দূর্নীতির কারনে সরকারের সকল উন্নয়ন স্নান হতে বসছে । দেশের আবহাওয়া অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারনে হিটস্টকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে । অতিরিক্ত তাপমাত্রা সাথে বিদ্যুৎ সরবরাহে বেলকীবাজি!
মাননীয় এমপি মহোদয়ের কাছে সাধারণ জনগণের একটা অনুরোধ বিদ্যুৎ সরবরাহে দূর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন । এটাই কাম্য ।