কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলকে সামনে রেখে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় আলুর হিমাগারে ২৪ মণ মিষ্টি মজুত করেছেন এক ব্যবসায়ী। এ ছাড়া পবিত্র রমজানে বিক্রির উদ্দেশ্যে আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী একই হিমাগারে মজুত করেছেন ১৫ মণ খেজুর।
রোববার দুপুরে খবর পেয়ে উপজেলার বড় আজলদী গ্রামে এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরেজে মজুদ রাখা এই সব মিষ্টি ও খেঁজুর ধ্বংস করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই সাথে এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন।
জেলা পুলিশের সহায়তায় বাজার তদারকি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের জেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর শংকর চন্দ্র পালসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ শাখা ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলার বড় আজলদীতে এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরেজে অবৈধভাবে মিষ্টি ও খেজুর মজুত করে রাখা হয়েছে এমন খবর পায় অধিদপ্তর। পরে রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে অধিদপ্তরের লোকজন পুলিশের সহায়তায় ওই কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালায়। অভিযানে ২৪ মণ নষ্ট মিষ্টি এবং ১৫ মণ মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করে। এরপর ওই মিষ্টি ও খেজুর জনসমক্ষে ধ্বংস করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কিশোরগঞ্জ শহরের স্বনামধন্য মিষ্টির দোকান মদন গোপাল অধিক মুনাফা লাভের আশায় এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরে ২৪টি ড্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ অন্তত ২৪ মণ মিষ্টি ড্রামের মধ্যে সংরক্ষণ করে। এছাড়া এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১৫ মণ খেঁজুর সংরক্ষণ করে রাখেন।
অভিযানের সময় জব্দ করা মেয়াদোত্তীর্ণ ২৪ মণ মিষ্টি ড্রাম থেকে মাটিতে ফেলে বালি দিয়ে নষ্ট করা হয় এবং ১৫মণ মেয়াদোত্তীর্ণ খেঁজুর আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।
এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম হোসেন জানান, ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫১ ধারায় মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল সংরক্ষণের দায়ে এগারসিন্দুর কোল্ড স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মেয়াদোত্তীর্ণ মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে।